সোমবার , ১৭ জুলাই ২০২৩ | ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. English News
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কাতার বিশ্বকাপ
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. চট্টগ্রাম
  11. চাকরি
  12. জাতীয়
  13. জীবনযাপন
  14. জোকস
  15. ঢাকা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: বিনা অনুমতিতে কার্যালয়ে প্রবেশ, ক্ষিপ্ত হলেন উপাচার্য

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুলাই ১৭, ২০২৩ ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: বিনা অনুমতিতে কার্যালয়ে প্রবেশ, ক্ষিপ্ত হলেন উপাচার্য

ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কার্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ এপ্রিল) সততা ফোয়ারা চালুর দাবি নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। সভা চলাকালীন বিনা অনুমতিতে কার্যালয়ে প্রবেশ করায় উপাচার্য তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে আসেন। এক পর্যায়ে উপাচার্যের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায় শিক্ষার্থীরা। পরে উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও ছাত্র-উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদেরকে বোঝালে শান্ত হয় তারা।

জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সততা ফোয়ারা চালুর দাবিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান নানামুখী সমস্যা সমাধানের দাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বীর নেতৃত্বে প্রাশসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে তারা উপাচার্যের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে তার কার্যালয়ে যান। এসময় উপাচার্যের কার্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সঙ্গে সভা চলছিল। উপাচার্য সভায় থাকায় কার্যালয়ের বাইরে ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করেন তারা। পরে উপাচার্যের একান্ত সচিব মনিরুজ্জামান মিল্টন দেখা করার অনুমতি নিতে কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করলে সাথে সাথেই মানববন্ধনকারী শিক্ষার্থীরাও কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদেরকে একটু অপেক্ষা করে সভা শেষে দেখা করতে বলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তখনই তাদের দাবি জানাতে পীড়াপীড়ি শুরু করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়।

এসময় উপাচার্য বলেন, আমি এখন ডিন মহোদয়দেরকে সময় দেবো নাকি আপনাদেরকে সময় দেবো? তখন শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, অবশ্যই আমাদেরকে সময় দিবেন। এসময় সুদীপ্ত শাফি (ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) উপাচার্যকে বলেন, ‘আমাদের টাইম দিবেন। উনাদের টাইম দিবেন, অবশ্যই আমাদেরও দিতে হবে।’

তখন উপাচার্য ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান এবং তাদের দিকে এগিয়ে আসেন। এসময় ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন শিক্ষার্থীদেরকে বোঝাতে চেষ্টা করেন এবং শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পরে উপাচার্য তাদের দাবি শুনে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা সেখান থেকে চলে আসেন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বী বলেন, আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে উপাচার্য স্যারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি মিটিংয়ে থাকায় আমরা বাইরে অপেক্ষা করি। তিনি একটি মিটিং শেষ করে ডিনদের সাথে আরেকটি মিটিং শুরু করেন। এসময় আমরা তার কক্ষে প্রবেশ করলে তারা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণ করা উচিত হয়নি। উপাচার্য তাদের সাথে পরে কথা বলতে চাইলেও তারা তখনই কথা বলতে চান। এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কাম্য নয়।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি তো না বলিনি। শুধু একটু বাইরে ওয়েট করতে বলেছি। আমাদের ডিন মহোদয়রা এখানে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে আছে। আমাদের সিডিউল মিটিং ছিল ১২টায়।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থাপনা হচ্ছে ‘সততা ফোয়ারা’। শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের মধ্যবর্তী স্থানে দৃষ্টিনন্দন এই ফোয়ারাটির অবস্থান। ২০১৮ সালে এটি উদ্বোধোন করা হয়। লাল নীল রঙের আলোয় ফোয়ারার প্রবাহিত পানির নান্দনিক রুপ মুগ্ধ করে শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীদের। তবে দীর্ঘদিন থেকে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে স্থাপনাটি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিবিনিউজ৭১.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন dbnews71.bd@gmail.com ঠিকানায়।

সর্বশেষ - সাহিত্য