রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামির মতো নামী ও সুপ্রতিষ্ঠিত পারফরমারে সাজানো ভারতের বিপক্ষে দারুণ খেলে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও মাত্র ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে জিততে পারলে বাংলাদেশের সামনে এখন সেমিতে খেলার হাতছানি থাকতো। পুরো পরিবেশ-প্রেক্ষাপটটাই হতো ভিন্ন।
সেটা হয়নি। তারপরও নিজেদের মেলে ধরতে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সামর্থ্যের প্রমাণ রাখতে কালকের ম্যাচে জয় হতে পারে ‘পাথেয়।’ হোক তা ভিন্ন ফরম্যাট মানে টেস্ট আর ওয়ানডে, তারপরও সামনেই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ। তার আগে নিজেদের মনেবাল চাঙ্গা করতে এবং আস্থা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে বড় দলের বিপক্ষে জয় দরকার বাংলাদেশেল। কাজেই টাইগাররা সামর্থ্যের শেষ বিন্দু দিয়েই লড়বে পাকিস্তানকে হারাতে।
পুরো আসরে মিডল অর্ডার ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে। ইফতিখার আহমেদ, ফাখর জামান, আসিফ আলি, শাদাব খানদের সেভাবে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঠিক আগের ম্যাচে দল যখন খাদের কিনারায় পড়ে, ঠিক তখন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন ইফতিখার ও শাদাব। দলের চরম সংকটে জোড়া ফিফটি উপহার দিয়ে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেন তারা।
এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের ব্যাটারদের বড় অংশ যারা আগের ম্যাচগুলোয় তেমন অবদান রাখতে পারেননি; বিশেষ করে অধিনায়ক সাকিব, আফিফ, মোসাদ্দেক, সোহানরা কি ইফতিখার ও শাদাবদের মত দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠতে পারবেন? তাদের জন্য জন্য কাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ দায় পূরণের ম্যাচ। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নিজেদের মেলে ধরার ম্যাচ।
বলার অপেক্ষা রাখে না, পেসার তাসকিন আহমেদ, তরুণ হাসান মাহমুদ উৎড়ে গেছেন ভালভাবে। তাসকিন দুই জয়ের স্বার্থক রূপকার। ওপেনার শান্ত বেশিরভাগ খেলায় কিছু করতে না পারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় ইনিংস খেলে হয়েছেন জয়ের নায়ক।
আর দলকে জেতাতে না পারলেও ভারতের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করে সবার মন জয় করেছেন লিটন দাস। লিটনের অনায়াসে উইকেটের চারিদিকে হাঁকানো বাহারি স্ট্রোক প্লে দেখে অভিভূত, মুগ্ধ বড় বড় ক্রিকেট বোদ্ধা।
কিন্তু সাকিব, আফিফ, মোসাদ্দেক, সোহান, ইয়াসির, সৌম্যরা ব্যাট হাতে তেমন কিছুই করতে পারেননি। ঝড়ো ব্যাটিং করা বহুদূরে, কারো ব্যাট থেকে একটি কার্যকর ইনিংসও বেরিয়ে আসেনি। সুপার টুয়েলভপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দারুণ কিছু করে তারা সে দায়মুক্ত হতে পারবেন?