উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের রায়পাড়া অন্নদাময়ী সার্বজনীন দেবস্থানের সম্পত্তি দখল করে বাড়ি নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে। বাবু রাম রায় ওই গ্রামের মৃত খোকা রাম রায়ের ছেলে।
জানা যায়, ১৯৩০ সালের দিকে ওই এলাকার অন্নাদাময়ী দাস্যা নামের এক ব্যক্তি ১০ শতাংশ জমি মন্দিরে দান করেন এবং অন্নদাময়ী সার্বজনীন দেবস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়। জমিটি সি.এস ও এস.এ খতিয়ানমূলে দেবস্থান হিন্দু সাধারনের ব্যবহার্য মর্মে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী কাল থেকে সেখানে বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা অর্চণা হয়ে আসছিল। বর্তমানে কালিপুজা ও দূর্গা পুজা করা হয়।
পরে স্থানীয় খোকা রাম রায় মন্দিরের জমিটি ক্রয় সূত্রে মালিক বনে যান এবং নিজ দখলে নিয়ে বিআরএস খতিয়ানে রেকর্ডভুক্ত করেন। তার মৃত্যূর পর পৈত্রিক সূত্রে দুই ছেলে বাবু রাম রায় ও নীরদ চন্দ্র রায় জমিটি দখলে নিয়ে ভোগ করেন। পরবর্তীতে জমিটি অন্যত্র বিক্রি করেন।
স্থানীয়রা জানায়, মন্দিরের জমি বেদখল হয়ে যাওয়ায় ইতোপূর্বে কয়েকদফা সামাজিকভাবে বাবু রাম রায়ের সাথে মীমাংসার জন্য বসা হয়। এতে কোন কাজ না হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লেবু ও বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি, নিমাই চন্দ্র ভট্রাচার্য সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ করা হয়। এতেও মন্দিরের জমি বাবু রাম রায় ছেড়ে দেয়নি।
মন্দির কমিটির সভাপতি কুশল রায়, সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন রায়, সাধারণ সম্পাদক রতন রায়সহ কয়েকজন বলেন, 'মন্দিরের জমি বেদখল হয়ে যাওয়ায় আমরা মন্দির সম্প্রসারণ করতে পারছি না। আমাদের দেবদেবীর পুজা অর্চণা করতে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মন্দিরের জমির সমস্যা নিরসনে কয়েক দফা বসাও হয়েছিল, এতে কোন সমাধান হয়নি। বরং তারাই নানা রকম হুমকী ধামকি প্রদর্শন করে আসছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান না হলে আমরা আইনী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।'
এবিষয়ে তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম লেবু বলেন,মন্দিরের বিসয় নিয়ে গত শুক্রবার বসাও হয়েছিল। এতে সমাধান না হওয়ায় আগামী শুক্রবার আবারও বসা হবে। আশা রাখি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান হবে।