যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, রাশিয়াকে ‘যুদ্ধাপরাধের’ জন্য দায়ী করা হবে এবং ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে সিরিজ হামলার ঘটনায় ইরানের ড্রোন প্রোগ্রামের সঙ্গে কাজ করা কোম্পানি ও দেশগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি শহরে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভে ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেনের। পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে একমত পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়াকে ইরানের বিস্ফোরক ড্রোন সরবরাহ, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন।
কিয়েভ ছাড়াও সোমবার দেশটির আরও দুটি অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে দেশটির শত শত গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রাজধানী কিয়েভে হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে।
এদিকে জাতির উদ্দেশে নিয়মিত ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দেশজুড়ে বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে রাশিয়া ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। বেশ কিছু হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইউক্রেন বলছে, ইরান থেকে আনা কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। তবে মস্কোর কাছে এ ধরনের অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইরান।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, হোয়াইট হাউজ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। এই হামলার মাধ্যমে পুতিনের বর্বরতা অব্যাহত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
গত শুক্রবার ইউক্রেনের জন্য নতুন করে আরও ৭২৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রসঙ্গে জিন পিয়েরে বলেন, যতদিন যুদ্ধ চলবে আমরা ইউক্রেনের জনগণকে সমর্থন দিয়ে যাব। অপরদিকে রাশিয়াকে আরও চাপে রাখা হবে এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য তাদের দায়ী করা হবে।