ইবি প্রতিনিধি:
নিজেদের দখল করা শ্রেণিকক্ষগুলো উপাচার্যের কাছে স্থায়ীভাবে বরাদ্দের দাবি করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর দুইটায় উপাচার্যের কার্যালয়ে বিভাগের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে উপাচার্যের কাছে এ দাবি করেন তারা। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম শিক্ষার্থীদেরকে অতি শীঘ্রই এ সংকট নিরসনের আশ্বাস দেন।
জানা যায়, বর্তমানে উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের পাঁচটি ব্যাচ চলমান রয়েছে। গত ৬ বছর ধরে তারা ধার করা একটি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করছেন। এছাড়া বর্তমানে একাধিক বর্ষের শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে পরীক্ষা চলায় বিপত্তি পড়ে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এতে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তারা কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই রুম দখল করে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি- তাদের দখল করা কক্ষগুলোতেই তাদেরকে বরাদ্দ দিতে হবে।
এরআগে মঙ্গলবার সকালে ওই ভবনের নির্মাণাধীন শ্রেণিকক্ষের পরিদর্শনে যান উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলীসহ ভিজিল্যান্স কমিটি। সে সময় তারা তৃতীয় তলার কক্ষগুলো তালাবদ্ধ দেখেন। একপর্যায়ে বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের তালা খুলে দিতে বললে তারা তা করেননি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজ্যমূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে পরীক্ষা চলাকালে শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের হেনস্থা করেছে প্রশাসন। এসময় ওই কক্ষে সজোরে লাথি মারেন তারা। পরে কক্ষগুলোর তালা খুলে দিতে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে যান। যা শিক্ষকদের জন্য অপমান।
মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে উপাচার্য বিষয়টি সমাধানে বুধবার আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত হয়। এদিকে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে এ বিষয়ে বিভাগটির শিক্ষক ও অনুষদীয় ডিনদের সাথে আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনসহ বিভাগটির বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরিফ উদ্দীন বলেন, ‘ভবনটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। এজন্য বরাদ্দ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ঠিকাদাররা বিলের আবেদন করেছে। তাদের বিল দেওয়া হবে বলে আমরা কাজ দেখতে গিয়েছিলাম।’ এদিকে রঙ ও ফিনিশিংয়ের কিছু কাজ এখনো বাকি আছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদাররা।
উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘ভবনটি আমরা বুঝে পাওয়ার পর কক্ষগুলো বণ্টন করতে পারব। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী। ভবনটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। অতি শীঘ্রই এ সংকট কেটে যাবে৷’