বৃহস্পতিবার , ১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. English News
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কাতার বিশ্বকাপ
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. চট্টগ্রাম
  11. চাকরি
  12. জাতীয়
  13. জীবনযাপন
  14. জোকস
  15. ঢাকা

ভিক্ষুকদের ছদকা জারিয়ার টাকা এখন কৌশলে চলে যাচ্ছে বিত্তবানদের পকেটে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
ডিসেম্বর ১, ২০২২ ৬:০৬ অপরাহ্ণ
ভিক্ষুকদের ছদকা জারিয়ার টাকা এখন কৌশলে চলে যাচ্ছে বিত্তবানদের পকেটে

জুবায়ের খন্দকার, ময়মনসিংহঃ-ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ভিক্ষুকদের ছদকা জারিয়ার টাকা কৌশলে চলে যাচ্ছে বিত্তবানদের পকেটে। জানা গেছে যে, মুক্তাগাছা উপজেলায় সপ্তাহের প্রতি বুধবার নির্ধারিত বাজারের দিন সেখানকার স্থানীয় ত্রিমোহিনী নতুন বাজারে ভিক্ষা করে যে টাকা ভিক্ষুকরা উপার্জন করেন তার অর্ধেক টাকাই তুলে দিতে হয় ওই বাজারের ইজারাদারদের ছত্রছায়ায় পালিত দালাল, বাটপার আর বিত্তবানদের হাতে।

ওই ভিক্ষুকরা দিন শেষে যা আয় করে তার সিংহ ভাগ টাকাই তুলে দিতে হয় সমাজের চোখে সাঁধু সাজা সে সব দালাল. বাটপার আর বিত্তবানদের হাতে। আর বাকী যে টাকা ওই সব গরীব ভিক্ষুকদের হাতে অবশিষ্ট থেকে যায় তা দিয়ে তাদের সংসার যেন আর চলতেই চায় না। এরপর পরিবার নিয়ে দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে অনেকদিন আবার না খেয়েও দিন পার করতে হয়। অনেক সময় তাদের হাতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বাজার ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে থাকে ভদ্রবেশী এই সব দালাল আর বাটপারের দল।

প্রথমে আমাদের এই কথাটি বিশ্বাস না হলে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক ভিক্ষুকের কথা মতো আমরা সরেজমিনে মুক্তাগাছা উপজেলায় সপ্তাহের প্রতি বুধবার নির্ধারিত বাজারের দিন সেখানকার স্থানীয় ত্রিমোহিনী নতুন বাজারে গিয়ে উপস্থিত হই। আমাদের পরিচয় গোপন রেখে অনেকটা ছদ্মবেশ নিয়ে ওই সকল ভিক্ষুকদের কথামত সত্য উদঘাটন করতে মাঠে নেমে পড়ি। হঠাৎ করেই আমরা জানতে পাড়ি যে. গত কয়েক মাস যাবৎ ছাগল বাজারের জনৈক আবুল কালামসহ বেশ কয়েক জন বিত্তবান ব্যক্তি ভিক্ষুকদের হামকি-ধামকি দিয়ে ছাগলের বাজারে সারাদিনের ছদকা ও দানের টাকা ভিক্ষুকদের কাছ থেকে নিয়ে ক্যাশিয়ার হিসাবে তাদের কাছে গচ্ছিত রাখে। সেই টাকা দিন শেষে ভিক্ষুকদেরকে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকার অর্ধেক নিজেদের কাছে রেখে বাকি টাকা ওই সকল ভিক্ষুকদের মাঝে ভাগ করে দিচ্ছে। এমন সময় সেখানে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে ওই সকল দালাল আর বাটপারের দল।

বাজারের ইজারাদার আব্দুস সবুর খান মিন্টুর সাথে ভিক্ষুকদের ছদকা জারিয়ার টাকা প্রসঙ্গে বলেন-ফকিরদের টাকা তারা নিজেরাই নেয়। তাদের টাকার বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আপনাকে টাকা বন্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সবুর খান মিন্টু বলেন-আমাকে কোন দায়িত্ব দেই নাই আর তা ছাড়া এ বিষয় আমি কিছু জানিনা বলে কৌশলে সেখান থেকে সট্কে পড়েন।

এবার আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলি মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমানের সাথে। ভিক্ষুকদের ছদকা জারিয়ার টাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন-ফকিরদের বিষয়ে আমি এখনও কোন অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বলেন তিনি।

 

সর্বশেষ - রংপুর