সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ সদর বহুমূখী কারিগরি মাদ্রাসার সুপারসহ ৩ জন মিলে স্বাক্ষর জালসহ ভ‚য়া কাগজপত্র তৈরি করে কমিটি অনুমোদন চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যোগসাজসীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাসহ বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-মারুফ’র স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম সাবু ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডল পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত পূর্বক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদন সমূহে উল্লেখ করা হয় ‘মাদ্রাসার প্রাক্তন সুপার আবুল হোসাইন, সাখাওয়াত হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সুপার আতাউর রহমান যোগসাজসে প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর জালসহ ভ‚য়া কাগজপত্র তৈরি করে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে ভ‚য়া কমিটি অনুমোদন চেয়ে অনলাইনে আবেদন করেন। স্থানীয় প্রশাসন, বিভাগীয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও প্রিজাইডিং অফিসার কে তোয়াক্কা না করে ভ‚য়া কাগজপত্র তৈরি ও স্বাক্ষার জাল ধৃষ্টতার নামান্তর। ইতোপূর্বেও এ চক্রটি নালিশী মাদ্রাসার প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ভ‚য়া নথিপত্র তৈরি করে ভ‚য়া ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন করেছিলেন।
এ পরিস্থিতিতে এ চক্রের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাসহ বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভ‚য়া অনুমোদিত কমিটি অবিলম্বে ভেঙ্গে দেয়া আবশ্যক। জালজালিয়াতির মাধ্যমে কমিটি গঠনের অভিযোগ সত্য মর্মে প্রমাণিত হয়েছে’। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আতাউর রহমান, প্রাক্তন সুপার আবুল হোসাইন ও সখাওয়াত হোসেন’র সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে মোবাইল ফোনে কথা হলে তারা এসব কিছুই জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডল বলেন, ‘আমাকে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রিজাইডিং অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, কোন নির্বাচন হয়নি’।