ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির এক বছর পূর্ণ হয়েছে। গত বছর ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন দেয় এই কমিটির। সেই হিসেবে গত তিন দিন আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এ কমিটির। দীর্ঘ এক বছরে অনেক সফলতার পাশাপাশি কিছু ব্যার্থতাও রয়েছে এ কমিটিতে।
দলীয় সূত্রে, গত বছরের ৩১ জুলাই ২৪ সদস্য বিশিষ্ট এক বছর মেয়াদী কমিটির অনুমোদন দেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
গত এক বছরে এ কমিটির মুকুটে যুক্ত হয়েছে অনেক সফলতার পালক। এর মধ্যে রয়েছে, ১০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ৩৩দফা দাবি, যার প্রতিটি দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পৃক্ত। ক্যাম্পাসের বইমেলা প্রাঙ্গণ, জাতীয় স্থাপনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। এছাড়া পুরো ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে গ্রীন ক্যাম্পাস, ক্লিন ক্যাম্পাস ঘোষণা।
সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা। আবাসিক হলগুলোতে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন নিয়ে আলোচনাসভা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন ছাড়াও নানা শিক্ষামূলক কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
তবে বড় সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও সফল হতে পারেনি এই শাখাটি৷ দীর্ঘ ৭বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জীবনবৃত্তান্ত জমা নিলেও নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি শাখাটি।
এদিকে সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে গত এক বছরে কোনো ধরনের সংঘাত বা রক্তপাতে জড়ায় নি বলে দাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির। যাকে সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে দেখছেন নেতাকর্মীরা।
তবে এসব সফলতার পাশাপাশি এ কমিটির সবথেকে বড় ব্যর্থতা ২৪ সদস্যের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা’র বিরুদ্ধে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাতভর ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা। যা সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এছাড়াও আশা দিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দিতে পারাই অনেকেই হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানা যায়।
তবে এসকল প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আমরা গত এক বছরে কোনো ধরনের সংঘাতে জড়ায় নি এটাই সবচেয়ে বড় সফলতা। আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য আমরা জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে সবকিছু সময়ের আগে কেন্দ্রে প্রেরণ করেছি। তারা খুব দ্রুতই অর্থাৎ আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে অনুমোদন দিতে পারে। মেয়াদের আগে আনার জন্য চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু কেন্দ্রে অনেকগুলো চাপ থাকায় সম্ভব হয় নি।
এসময় তিনি আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবি আদায়ে ছাত্রলীগের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।