অনুক্ত অনুরাগ
মানুষ চলে গেলে
বাঁশঝাড়টার মত জমিও চলে যায়
চলে যায় আবহমান ধরে লালিত গৃহীত
সমস্ত মায়া কিংবা টান।
এই পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন যে
মনে রাখা,
প্রতিটা পৃষ্ঠা জুড়েই শুধু ভুলে যাওয়া
ভুলে যাওয়া
ভুলে যাওয়া।
সময় আর স্মৃতি এখানে হাওয়ার মত আসে
নিশ্বাসে চলে যায়।
ভুলে যাওয়া মন নিয়ে এই যে ছুটছি
মেঘ হয়, রোদ হয়, শূন্যস্থান পূর্ণ হয়
বুকের সাথে বুকের প্রেমে অঝোরে ধুঁকছি।
খুঁজছি –
কামলা বায়না
ঘরের হাল রুটি রোজগার।
অপয়া ছায়া মায়া সন্ধ্যেবেলার
পাতা ছেঁড়া গোধূলির চিৎকার।
দেওরি বেয়ে আসা তোমার শব্দ
নিস্তব্ধ করে দেয়া কাজের শেষের রাতে
ক্লান্তি ভেঙে আজানের আগে,
ক্ষেতের ধান উঠানে গড়ায়
ব্যস্ত কাজ নিবিড় হয়ে যায়
বন্ধ হয়ে যায় জানালা দরজা
বন্ধ হয়ে যায়- তোমাকে খুঁজা।
আচ্ছা! মেনে নেওয়ার থেকে এই দুনিয়ায়
আছে কি বেশি কিছু
আছে বৈকি?
ঘুম তাড়াতেইতো নতুন দুনিয়া
দেখি!
নতুন হওয়া জীবন
নতুন নতুন রাজনীতি
আলস্য শ্লোগান কর্পোরেট বয়ান।
নতুনে মন চায় কিংবা চায় না
কি চায়? বোধহয়, সয়ে যায়।
ভুলে যায় ভারী ভালোবাসা
ডুবে যায় বিরাগী
নদী মরে ভজনে সজনে
মানুষ বাঁচে কজনে?
নতুনে! সূর্য উঠে নতুনে
তুমি পরিবর্তন পটীয়সী
আমি বাঁচি কেমনে?
আড়ালে অবজ্ঞাত ঘুমে! তাহলে
কে আমাকে আর
তোমার মত ডাকে
তোমার মত বুঝে
তোমার মত খুঁজে
খুঁজে নাতো!
তবু তোমার সেই হাত মাথায় পড়লে জানি
বটবৃক্ষের ছায়ারাও বলে শান্তি আমি মানি।
জানি আমি ;
এই প্রগাঢ় অনুভবের কাছে
এই নতুন কিছুই না
রুপকথা কিছুই না
দুনিয়া তোমার হাজারটা রোগ
কিছুই না।
বাবা! ও বাবা!
এই ডাকটার কাছে
কিছুই না
কিছুই না!!