স্বপন কুমার রায়, খুলনা জেলা প্রতিনিধি:
বিশ্ব শান্তি ও জগতের সকল জীবের মঙ্গল কামনায় ৪৩ বর্ষীয় ৫৬ প্রহরব্যাপী শ্রীশ্রী মহানাম সংকির্তন বাজুয়-খুটাখালী ঐতিহ্যবাহী আর্য্যহরিসভা প্রঙ্গনে বাংলা ২৮ মাঘ২৪২৯ ও ইংরাজী ১২ ফেব্রুয়ারী রবিবার (২০২৩) সন্ধ্যায় কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথিতে মঙ্গলঘট স্হাপন, শুভগন্ধাধিবাস ও ভগবত আলোচনার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে।এর আগে নবনির্মিত অফিস কক্ষ বিষ্ণুপ্রিয়া উদ্ধোদন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ননীগোপাল মন্ডল,এরপর আর্য্যহরিসভার অপর একটি নবনির্মিত শ্রীহরিদাস তোরন উদ্ধোদন করেন আর্য্য হরিসভার সহসভাপতি ও বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মানস রায়।
এই সময় উপস্হিত ছিলেন আর্য্য হরিসভার মহাপরিচালক সরোজিত কুমার রায় সহসভাপতি ও বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মানস রায়,, সাধারন সম্পাদক বিজন কুমার রায়, সহসাধারন সম্পাদক প্রবীর রায় বাপী, দেবপ্রসাদ গাইন, সনন্জয় মোড়ল, সুখেন্দ্র শেখর রায়, জিতেন বিশ্বাস, কালিপদ বিশ্বাস সজল বম্মচারী, তপন রায়, সনজিত সরকার বাবু সহ কমিটির সকল সদস্য বৃন্দ।
১৩ ফেব্রুয়ারী ও বাংলা ২৯ মাঘ সোমবার প্রত্যুস কাল থেকে ৫৬ প্রহরব্যাপী মহাসংকির্তন অবিরাম চলতে থাকবে।২০ ফেব্রুয়ারী বাংলা ৭ ফাল্গুন সোমবার প্রত্যুষে নামসংকির্তন সমাপন, মহানাম সহ নগর পরিক্রমা, শ্রীশ্রী ঠাকুরপুজা, দধিভঙ্গ ও মহোৎসব শেষে প্রসাদ বিতরণ।
মানষ অমৃতের সন্তান। কলিযুগে মানুষ রিপুর তাড়নায় তাঁর উৎস্য ও অস্তিত্বকে বিস্মৃত হয়ে উদভ্রান্তের মত মরিচিকার পিছনে ছুটে চলেছে।অর্থ,বিত্ত,স্বীয়স্বার্থ জড়িত নেতৃত্ব আর লোভের তুচ্ছ মোহে আবদ্ধ হয়ে সত্য ও সুন্দরের পথ খুঁজে পাচ্ছেনা। এই দুঃখময় অবস্হান থেকে মুক্তি পেতে প্রেমময় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রবর্তিত পুণ্য পথ পানে যাত্রা করতে হবে।সেই যাত্রা পথের পাথেয় সংগ্রহের উদ্যোশে এবার ও বাজুয়া-খুটাখালী আর্য্যহরিসভার আয়োজনে ৫৬ প্রহরব্যাপী শ্রীশ্রী তারক ব্রহ্ম মহানাম কির্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আর্যহরিসভার কমিটি জানায় এবারে লক্ষ সনাতন ধর্মল্বীদের পদচারনায় তির্থভুমিতে পরিনত হবে আর্য্য হরিসভা অঙ্গন।