সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া মেট্রোরেল চলছে দ্বিতীয় দিনের মতো। এদিনও স্টেশনে ঢুকতে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি থাকলেও ট্রেন আসা-যাওয়া করছে আসন ফাঁকা রেখেই। তবে পুরোদমে চালু হলে এই সমস্যা থাকবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ছুটির দিনের সকালেই মেট্রোরেলের এক নম্বর স্টেশন উত্তরার দিয়াবাড়ী স্টেশনে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এ স্টেশনের মূল ফটক থেকে একসঙ্গে সবাইকে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এছাড়া টিকিট কেনার পর প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের প্রবেশের বিষয়টি বুঝতেও সময় লাগছে যাত্রীদের। এখানে সবকিছুই (নিয়ম) নতুন হওয়ায় সাধারণ মানুষের বুঝতে সময় লাগছে। স্কাউট সদস্য ও নিরপত্তা কর্মীদেরও সাধারণ মানুষকে বিষয়টি বুঝিয়ে দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার ইফতেখার হোসেন জানান, এখন আমরা সীমিত পরিসরে চালু করেছি। এরপরও এখন দর্শনার্থী অনেক বেশি। সবাই একসঙ্গে প্ল্যাটফর্মে ঢুকলে সমস্যার সৃষ্টি হবে। প্রথম প্রথম মানুষের একটু ভিড়তো থাকবেই। নতুন এ গণপরিবহনে অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আমাদের সময় নির্ধারণ করা আছে। এর মধ্যে মানুষ থাকুক বা না থাকুক- মেট্রোরেল ঘুরতেই থাকবে। এক্ষেত্রে কোনো ট্রিপে বেশি মানুষ হবে, কোনোটায় কম। এখান প্রতিটি ট্রেন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ২৫ বার রাউন্ড দেবে। বর্তমানে প্রতিটি স্টেশনে এক মিনিট বা তার চেয়ে একটু বেশি সময় ট্রেন অপেক্ষা করছে। তবে ধীরে ধীরে এই সময় কমিয়ে আনা হবে।