আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ নিয়ে আইনি পরীক্ষা করে দেখার পর সময় এলে জানাবেন তিনি।
বুধবার (২ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সিসিটিভি মনিটরিং সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিইসি।
সিইসিকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেছেন তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন। তার নির্বাচনের কোনো সুযোগ আছে কি না?
জবাবে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। এটা নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাই না। বিষয়টি আইনানুগভাবে পরীক্ষা করে দেখবো। আমাদের আইনের কিছু কাঠামো আছে। কেউ ভোট করতে চাইলে ওই কাঠামোর মধ্যে ফিটিং করতে হবে। ওদিক দেখে কী হবে তা জানি না। কাজেই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। তিনি নির্বাচনে দাঁড়ালে আমরা সেটা আইনানুগভাবে পরীক্ষা করে দেখবো। এখানে অগ্রিম কিছু বলার নেই। সময় আসুক সব খতিয়ে দেখবো। তখন সব জানাবো। এত আগে কোনো কথা বলা ঠিক নয়।
আইনি কি বিষয় আছে জানতে চাইলে কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, এখানে আইনি দিক নিয়ে অগ্রিম কিছু বলার নেই। সময় আসুক সব খতিয়ে দেখবো।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু প্রার্থিতা বাছাইয়ে তার সবগুলোই বাতিল হয়। পরে আপিল করলেও তা টেকেনি।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে তার। বর্তমানে সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাসায় অবস্থান করছেন তিনি।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে। তবে এর সঙ্গে একটি বিষয় জড়িত। তা হলো যারা আগ্রহী তাদের ভিসা পেতে হবে। এর সঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সরকার স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। এ ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা করবে।