মিজানুর রহমান,সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের কথা বলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। অভিযোগ পেলে পুলিশ প্রতারণার দায়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে সুুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। মামলার মূল আসামি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহŸায়ক ও বামনডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল পলাতক রয়েছে।
বুধবার (০১ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০), মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম রব্বানী (৩৮), মৃত আলী বকসের ছেলে শাহ আলম (৩৬) ও মৃত শামছুল হকের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (৪৩)।
এ ঘটনার মূলহোতা ও মামলার এক নম্বর আসামি সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের গ্রামের ইমান উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল (৪০) পলাতক রয়েছে।
এর আগে, সোমবার (২৭ ফেব্রæয়ারি) গাইবান্ধা পুলিশ লাইন্স মাঠে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের পরিক্ষা চলাকালে সন্ধ্যার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গাইবান্ধা শহরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, জাকারিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশ কনস্টেবল পদে তার ছেলের চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫ লাখ টাকা ও আরেক জনের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। জাকারিয়া নামের ওই ব্যক্তি চক্রটির প্রতারণা বুঝতে পেরে থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে গাইবান্ধা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা সদর এলাকা থেকে প্রতারক চক্রকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে প্রতারক দলের মূল হোতা আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদি জাকারিয়া হোসেন জানান, গতকাল সোমবার গাইবান্ধা জেলায় পুলিশ কনস্টবল পদে লোক নিয়োগ করা হয়। তার ছেলে সুলতানকে পুলিশ কনস্টবল পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল জাকারিয়া হোসেনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু সুলতানের চাকুরি না হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সন্ধ্যার দিকে একদল ডিবি পুলিশ গাইবান্ধা শহরে অভিযান চালিয়ে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করেন। এসময় মূলহোতা রাসেল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় প্রতারণার মামলা হয়েছে। এ মামলার মূলহোতা রাসেলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এছাড়াও প্রতারণার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।