ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের সংযুক্তির মহাসড়কের নাম ফাইভ-জি প্রযুক্তি। অন্যদিকে, ডিজিটাল প্রযুক্তি হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা ফাইভ-জির যুগে প্রবেশসহ ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক গড়ে তুলছি। এ মহাসড়ক দিয়েই পঞ্চম শিল্পবিপ্লব করবো।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিযোগাযোগ বিট সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) ও মোবাইল অপারেটর রবির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফাইভ-জি প্রযুক্তি: সম্ভাবনা ও করণীয় বিষয়ক গোলটেবিল’ আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এমডি ড. রফিকুল মতিন এবং টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন প্রমুখ।
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. খালেদ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে টেলিটক, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, ফাইবার এট হোম লিমিটেড, আইএসপিএবি, মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ ফাইভজি প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা ফাইভ-জি প্রযুক্তি বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন।
ফাইভ-জি নিয়ে বাংলাদেশ এগোচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১৮ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফাইভ-জি ব্যবহারকারী তৈরি করা। মন্ত্রী ফাইভ-জি হোমনেটওয়ার্ক তৈরি, শিল্প-বাণিজ্যে ফাইভ-জি প্রয়োগ এবং কৃষি ও মাছচাষে এর প্রয়োগে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) জন্য অ্যাকটিভ শেয়ারিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মোবাইল অপারেটরদের জন্য টাওয়ার শেয়ারিং চালু করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আমরা যা করছি তার গতি বাড়াতে হবে। সবাই বলছে— ২০৩০ সালে ৬জিতে যাবো। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমরা অতিক্রম করেছি এখন আমাদের পঞ্চম শিল্পবিল্পবের প্রস্তুতি নিতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, সবাই ফাইভ-জির জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছে। এখন ব্যবহারকারী বিষয়ে সার্ভে দরকার। কোথায় কবে ফাইভ-জি শুরু করা যায়, তার জন্য প্ল্যান করতে হবে।
বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে ফাইভ-জিতে কানেক্ট করছি। আমরা চেষ্টা করছি ফাইভ-জি যখন আসবে তার সংযোগে যেন কাজ করতে পারি। সরকারের সব কানেকটিভিট করে ফেলেছি, সরকারি হাসপাতালসহ অন্যান্য অফিসগুলোকেও কানেক্ট করা হয়েছে। সব অপারেটরদের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি এবং অবকাঠামো শেয়ারিং করা হলে আমরা এগিয়ে যাবো।