ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা(খুলনা) প্রতিনিধি:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে তারই সুযোগ্য তনয়া শেখ হাসিনা’র নির্দেশনায় ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে লাগসই কৃষি প্রযুক্তি, উত্তম পানি ও মাটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। বৈশ্বিক করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধে সমস্ত দেশ যখন সংকটে তার এ নির্দেশনায় সংকট মোকাবিলায় বাংলার কৃষকেরা সরকারি কৃষি প্রযুক্তি ও ভর্তুকি নিয়ে মাঠে ফিরে গেছে। অপরদিকে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশিকায় আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও প্রণোদনায় হাঁস-মুরগি, গরু- ছাগল – ভেঁড়ার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশ আজ আমিষ ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারনেই আাজ বিদেশি গোবাদি পশু ছাড়াই গত তিন- চারটি ঈদ দেশি পশু দিয়েই সম্পন্ন হচ্ছে।
এই ধারাবাহিকতা বজায়ে থাকলে অচিরেই আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ সেক্টর থেকে রপ্তানি করতে সক্ষম হবো। তিনি গতকাল শনিবার বেলা ১১ টায় বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পৃথক পৃথক আয়োজনে তিন দিনব্যাপী “ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা এবং প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সমগ্র অনুষ্ঠানদ্বয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা ভাইস- চেয়ারম্যান নিতাই গাইন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রবিউল ইসলাম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: পলাশ কুমার দাস,সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল মামুন, প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা: মৃন্ময়ী সরকার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক, কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি পরিতোষ রায়, উপকূলীয় ঝর্ণাধারার সভাপতি মহিদুল ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন সুমন,সাংবাদিক এ্যাড. মোস্তফা বিল্লাল, সাংবাদিক পরাগ রায়, সাংবাদিক অরুপ জোয়ার্দার, সাংবাদিক নিতিশ বাছাড় সহ প্রাণী সম্পদ এবং কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং খামারী ও কৃষক- কৃষানীবৃন্দ।
সকল অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধশতাধিক ষ্টলে প্রদর্শনী প্রদর্শিত হয়।পরে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।