বিশ্বের অন্যতম টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটে চাকরি পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষার্থী জি এম নাজমুল হোসেন।
চলতি বছরের মার্চে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ তাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করলেও বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভিসা নিশ্চিত করেছে চেকপ্রজাতন্ত্র।
নভেম্বরের শেষের দিকে মাইক্রোসফট করপোরেশনের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের মাইক্রোসফট ক্যাম্পাসে যোগদান করবেন নাজমুল।
নাজমুল হোসেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
নোবিপ্রবি থেকে স্নাতক শেষ করে ২০১৮ সালের অক্টোবরে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি জার্মানিতে পাড়ি জমান। বর্তমানে জার্মানিতে বিএমডব্লিউর এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফ্রি নাউতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। এরআগে তিনি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন।
নাজমুল হোসেনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নোয়াখোলা গ্রামে। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
মাইক্রোসফটে কাজের সুযোগ পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে জিএম নাজমুল হোসেন বলেন, ‘প্রথমে আমি আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করছি। এটা আমার জীবনে অনেক বড় প্রাপ্তি।’
এক প্রশ্নের জবাবে জানান, তিনি মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করেন। চলতি বছরের মার্চে তাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হলেও পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ কয়েক ধাপে সাক্ষাৎকারসহ যাচাই-বাছাই করে। এরই মাঝে প্রায় চার মাস চলে যায়। চেক প্রজাতন্ত্রে বাংলাদেশের কোনো অ্যাম্বাসি না থাকায় ভারতীয় অ্যাম্বাসি থেকে আবেদন করতে হয়েছে তাকে। এজন্য আরও তিন মাস সময় বেশি লেগেছে। সর্বশেষ গতকাল নিশ্চিত করেছে মাইক্রোসফটের চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যাম্পাসে যোগদান করতে তার আর কোনো বাধা নেই।
এরআগে মাইক্রোসফটে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নোবিপ্রবির একই বিভাগের এক শিক্ষার্থী কর্মরত রয়েছেন। জি এম নাজমুল হোসেন মাইক্রোসফটে নোবিপ্রবির দ্বিতীয় শিক্ষার্থী হিসেবে যোগদান করবেন।