জামায়াতে ইসলামির আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে নতুন জঙ্গি সংগঠন সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার তথ্য জানানোর পর তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখঅ কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি।
তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছিলেন।
আগের রাতে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এই রিমান্ড আবেদনটি করা হয়। তার বিরুদ্ধে ছেলে এবং কয়েকজন সঙ্গীকে জঙ্গিবাদে পাঠানোসহ নানা মদত দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
অন্যদিকে জামায়াত নেতার আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেয়ায় সরকার ষড়যন্ত্র করে তাকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় ফাঁসাতে চাইছে। তারা করেন জামিনের আবেদন।
উত্তরা থেকে সোমবার রাত ১টার দিকে ডিবি পুলিশ শফিকুরকে তুলে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ। পরে সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেন, তাকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর পুলিশ কর্মকর্তা জামায়াত আমিরের বিরুদ্ধে জঙ্গি মদত দেয়ার অভিযোগ আনেন।
গত ৯ নভেম্বর শফিকুরের ছেলে রাফাত চৌধুরীকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল ইউনিট। তিনি সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আসাদুজ্জামান জানান, ছেলে রাফাতসহ কয়েকজনকে জঙ্গিবাদে জড়ানো, আর্থিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ, আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে শফিকুরকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা।
রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যে মামলা হয়েছিল, তাতেই রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবুল বাসার।
শফিকুর রহমান জামায়াতের শীর্ষ পদে এসেছেন ঘটনাচক্রে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলটির সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সিনিয়র নায়েবে আমির আবদুস সুবহান, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা, এটিএম আজহারুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাসেম আলীর গ্রেপ্তার ও সাজার কারণে তিনি এই পদে আসতে পেরেছেন।