পিরোজপুর বিএনপির ১২ থেকে ১৩ হাজার নেতাকর্মী এরই মধ্যে ট্রলারযোগে বরিশালে পৌঁছেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বরিশাল পৌঁছানোর পর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে শামিয়ানা টানিয়ে তারা সেখানে অবস্থা নিয়েছেন।
এরআগে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে চাল, ডাল, মুরগিসহ রান্না করার সরঞ্জাম নিয়ে ট্রলারযোগে রওনা দেন নেতাকর্মীরা।
সাত উপজেলা থেকে ১৮-২০ হাজার নেতাকর্মী বরিশাল মহাসমাবেশে যোগ দেবেন বলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হােসেন জানিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী অহিদুজ্জামান লাভলু বলেন, সমাবেশে যোগদানে বাধা দিতে শাসক দলের সন্ত্রাসীরা পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে আমাদের হয়রানি করছেন। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা তিনদিন আগে থেকেই বরিশালে আসতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে সমাবেশে পিরোজপুর থেকে ১২ থেকে ১৩ হাজার নেতাকর্মী পৌঁছেছেন।
বরিশাল পৌঁছে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন দুলাল বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে ট্রলারযোগে এক দিন আগেই বরিশাল পৌঁছেছি। এজন্য ২০টি ট্রলার ভাড়া করা হয়েছিল। আমাদের কিছু নেতাকর্মী সড়কপথে বিভিন্ন যানবাহনে বরিশাল এসেছেন। মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আমরা পাঁচ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অবস্থান করেছি। সমাবেশস্থলে রান্নার আয়োজন করা হয়েছে। তাঁবু ও শামিয়ানা টানিয়ে নেতাকর্মীরা রাত্রিযাপন করছেন।
নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব তারেক আব্দুল্লাহ বলেন, ট্রলারে করে উপজেলা ছাত্রদলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, শাসক দল যতই বাধা দিক না কেন, যেকোনো মূল্যে আমরা বরিশাল সমাবেশকে সফল করবো। সাত উপজেলা থেকে ১৮-২০ হাজার নেতাকর্মী বরিশাল মহাসমাবেশে পৌঁছাবে।