রাজধানীর পলাশী বাজারে দুপুর ১২টার দিকে ডিমের দরদাম করছিলেন শাহনাজ বেগম। এ এলাকার বাসিন্দা তিনি। নিয়মিত পলাশী বাজার থেকে বাজার করেন। আজ ডিম কিনতে এসে তিনি জানতে পারেন, তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি ডজনে দাম ১০ টাকা বেড়ে গেছে। তিন দিন আগে প্রতি ডজন ডিম কিনেছিলেন ১৪০ টাকায়। আজ সেই ডিমের দাম চাওয়া হয়েছে ১৫০ টাকা। তবে পরিচিত দোকান হওয়ায় ডজনে ৫ টাকা কম রাখা হয়েছে।
শাহনাজ বেগম বলেন, ‘ডিমের দাম এই বাড়ে তো, এই কমে। তিন-চার মাস আগেও ১১০ টাকা ডজনে ডিম পাওয়া যেত। তিন দিন আগে সেটা ১৪০ টাকায় কিনেছি। আজ আবার ডজনে ১০ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। বাজার থেকে যদি এই দামে কিনতে হয়, পাড়া-মহল্লার দোকানে নিশ্চয়ই আরও বেশি দামে কিনতে হবে।’
রাজধানীর কাঁঠালবাগান, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ও পলাশী বাজার ঘুরে ডিমের বাড়তি দামের তথ্য পাওয়া গেছে। বাজারে ফার্মের (ব্রয়লার) মুরগির দুই ধরনের ডিম বিক্রি হয়। বাদামি ও সাদা। সাদা ডিম কিছুটা কম দামে কিনতে পারেন ক্রেতারা। এর আগেও একবার ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম হালিতে ৫৫ টাকায় উঠেছিল। পরবর্তী সময় যা কমে ৪০ টাকার নিচে নেমে আসে। এরপর তা ৪৫-৪৮ টাকায় উঠে যায়। এখন তা আরও বেড়ে ৫০ টাকায় উঠেছে।
সরবরাহের সংকট না থাকলেও আড়তে ডিমের দাম বাড়ছে জানিয়ে পলাশী কাঁচাবাজারের ডিম ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ডিমের দাম খুব দ্রুত ওঠানামা করে। আজকে এক রকম তো কাল আরেক রকম। বড় ব্যবসায়ীরা এই দাম নির্ধারণ করে দেয়। আমরা আড়ত থেকে যে দামে কিনি, তার থেকে ২০ থেকে ৫০ পয়সা লাভে ডিম বিক্রি করি।’
বাজার থেকে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম প্রতি হালি ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। পাড়া-মহল্লার মুদিদোকান থেকে ডিম কিনলে গুনতে হচ্ছে তার চেয়ে কয়েক টাকা বেশি। আর ফার্মের মুরগির সাদা ডিম একটু কমে, প্রতি হালি ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারভেদে হাঁসের ডিমের হালি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের মান্নান এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা মোহাম্মদ আকাশ বলেন, মাঝে মুরগির দাম বেশ বেড়েছিল। এরপর আবার কিছুটা কমেছে। এখন আবার বাড়তির দিকে। কাঁচামালের দাম মাঝেমধ্যে হেরফের হয়। শীতের শুরুতে অনেক সময় সরবরাহ কমে যায়। সরবরাহ বাড়লে দাম আবার হয়তো কমে আসবে।