বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ফারদিন নূর পরশ খুনের ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার তাঁর বান্ধবী আয়াতুল্লা বুশরা। তাকে ৫ দিনের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।
জানা গিয়েছে, যেদিন মৃত্যু হয় ফারদিনের, সেদিন সারাদিনই বান্ধবী বুশরার সঙ্গে ছিলেন বুয়েট (BUET) অর্থাৎ বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ওই বান্ধবী এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে তাঁর বাবা এফআইআর দায়ের করার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার রামপুরায় নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় বুশরাকে।
গত সপ্তাহের শনিবার থেকে ফারদিনের খোঁজ মিলছিল না। ওই দিনই ঢাকার রামপুরা থানায় জিডি করেন তাঁর বাবা, পেশায় সাংবাদিক কাজী নূর উদ্দিন। তাতে তিনি জানান, ‘‘শুক্রবার বেলা ৩ টের দিকে আমার ছেলে ফারদিন নূর পরশ ঢাকার ডেমরা থানার কোনাপাড়ার নিজের বাসা থেকে বুয়েটের আবাসিক হলের উদ্দেশ্যে বের হয়। পরদিন, শনিবার সকাল ১০টায় তার বিভাগের (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) পরীক্ষা ছিল। পরে জানতে পারি, যে আমার ছেলে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ছেলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে একজন মেয়েবন্ধুর সঙ্গে রিকশায় করে রামপুরার ট্রাফিক বক্সের সামনে নেমে যায় সে। ছেলে এখনও বাসায় ফেরেনি।’’
এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরার বাড়ি থেকে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। পুলিশি জেরায় বুশরা কবুল করেছেন, চার বছর ধরে ফারদিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক। ঘটনার দিন সারাদিন বুশরার সঙ্গেই ছিলেন ফারদিন। দু’জনে একসঙ্গে রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়াও করেছেন। রাতে রিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে ফারদিন নেমে যান। এরপর আর কিছু জানে না বলে দাবি করেছিল বুশরা। কিন্তু ফারদিনের বাবার অভিযোগ, আরও কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করে হত্যা করেছে।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ”মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফারদিন নূরের বান্ধবী-সহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা তাঁর ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে দিয়েছেন। বুশরাকে মূল আসামী করে মামলা শুরু হয়েছে।”