রাজন হোসেন তৌফিকুল, মৌলভীবাজারঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ঈদের বাজার জমেউঠেছে আরও ১০ দিন বাকি থাকতেই জমে উঠেছে ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা বাজার । শহরের বিপণী বিতানগুলোতে এসে ভিড় জমাচ্ছেন কাপড়চোপড় কিনতে আসা ক্রেতারা। আর তাদেরকে বাহারি সব কাপড় দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দোকানের বিক্রেতা ও কর্মচারীরা।
রোববার (৩১ মার্চ) সরেজমিনে মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন সড়ক ও বিপণী বিতান ঘুরে ঈদের কেনাকাটার জমজমাট চিত্র দেখা গেছে। সড়কে পাশে থাকা ভাসমান দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় শপিং মলগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য ভিড়। এবছরও ঈদকে সামনে রেখে নিত্যনতুন ট্রেন্ডি পোশাক দোকানে তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। শিশু ও তরুণীদের জন্য আলিয়া কাট, হারারা গারারা, আগা নূর, সাদা পাহাড়সহ ভারতীয়, পাকিস্তানী নানা দেশের কাপড় তোলা হয়েছে দোকানে। বাজার ঘুরে ঘুরে এসব কাপড়ের দরদাম করে পছন্দমতো কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
শহরের সেন্ট্রাল রোডের ব্যস্ততম বিপণী বিতান বিলাস ক্লথ স্টোরে ঈদের এই সময়ে ভিড় করছেন ক্রেতারা এসে। নামী-দামী ব্র্যান্ডের কাপড়ের জন্য জনপ্রিয় এ দোকানেও তোলা হয়েছে নানা ধরনের কাপড়।বিলাসে কাপড় কিনতে আসা একজন ক্রেতা জানান, এখানে কাপড়ের মান ভালো পাওয়া যায়। দাম বেশি হলেও কাপড়ের গুণমান ভালো থাকে বলে পরিবারকে নিয়ে এখান (বিলাস) থেকে প্রতিবছর কাপড় কিনে নেই। এবারও পরিবারকে নিয়ে কাপড় কিনতে এসেছি। ঈদের অনেক বাকি থাকলে শেষ সময়ের যানজট এড়াতে আগেভাগেই শপিং শেষ করতে চাইছি।
এদিকে নামীদামী শপিং সেন্টারগুলোর পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে শহরের বিভিন্ন সড়কে থাকা ভাসমান কাপড়ের দোকানগুলোতেই। নিম্ন আয়ের মানুষরা এসব দোকান থেকে কিনে নিচ্ছেন পছন্দসই কাপড়। ভাসমান এসব দোকানেও ক্রেতাদের জন্য তোলা হয়েছে নতুন নতুন কাপড়। ঈদের কেনাকাটার ব্যস্ততার সাথে পাল্লা দিয়ে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সড়কে বেড়েছে যানজটের পরিমাণও।
বিশেষ করে শহরের ব্যস্ততম সড়ক সেন্ট্রাল রোডে এই সময়ে একটু পরপর সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যানজট এড়াতে অনেকে পায়ে হেটেই ঈদের কেনাকাটা করছেন।