সব জেলায় স্কুল সাইকোলজিস্ট (মনোবিজ্ঞানী) নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীর শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি আমরা যেমন মনোযোগী, তেমনই তার মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও আমরা জোর দিচ্ছি। প্রতিটি জেলায় অন্তত একজন বিশেষজ্ঞ স্কুল সাইকোলজিস্টের পদ সৃজনের কাজ চলমান রয়েছে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘সাইকোলজি ফর ইউমেন বিং’ শীর্ষক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সাইকোলজিক্যাল ফার্স্ট এইড দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা দুই লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবো। আমরা নিশ্চিত করতে চাই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন অন্তত দুজন কাউন্সিলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক থাকেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা ধ্যানের কর্মসূচি চালু করার চেষ্টা করছি।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা বড় আকারের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আগে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল মুখস্তনির্ভর। এখন আমরা প্রয়োগ করে করে শিখবো। আমরা শিখানোর পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। শিক্ষক আগে ছিলেন জ্ঞানের একমাত্র উৎস, এখন শিক্ষক একজন গাইড হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি বলেন, মনোজাগতিক সমস্যার সমাধান অন্যান্য সমস্যার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম। চোখে সমস্যা হলে সবাই চশমা বা লেন্স পরেন। কিন্তু কানে সমস্যা হলে কেউ হেয়ারিং এইড লাগাতে চান না। সামাজিক একটি ট্যাবু আছে- তারা মনে করে, কানের সমস্যা তার একটি দুর্বলতা বা ঘাটতি।
মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে দৌড়ে ডাক্তারের কাছে চলে যাই। কিন্তু মানসিক সমস্যা কী আমরা তা বোঝিই না বরং মানসিক সমস্যার কথা বললেও মনে করি- আমাকে কি পাগল ভাবছে? কিন্তু অনেকেই নানা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। সে অসুস্থতা থেকে শুধু তার জীবন নয়, পারস্পরিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে সামাজিক সম্পর্কগুলো নষ্ট হচ্ছে।
বাংলাদেশ সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের প্রথম দিন ‘কি নোট স্পিচ’ উপস্থাপন করেন ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. আজিজুর রহমান।