বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন হবে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
তারিখ নির্ধারণের পর দ্রুত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের নির্দেশও দেন শেখ হাসিনা। এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘২২তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতায় বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে ব্যয় কমাতে হবে। খরচ কমানোর জন্য আয়োজনটাও হবে সাদামাটা।’
এর আগে বিকেল ৪টায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একগুচ্ছ ইস্যু নিয়ে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শুরু হয়। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর আবারও বৈঠক শুরু হয়েছে।
বিরতির সময় সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এবার একদিনে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সকালে উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশন হবে অর্থাৎ নেতৃত্ব নির্বাচন পর্ব। এরপর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন,‘২২তম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে বেশকিছু উপ-কমিটি করা হয়েছে। পরে কমিটির সদস্যদের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে।’
অন্যদিকে আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
জানা গেছে, একগুচ্ছ ইস্যু নিয়ে আওয়ামী লীগের আজকের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শুরু হয়। আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল- দলটির জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে।
আজকের বৈঠকে ঘোষণা আসতে পারে চার সহযোগী ও দুই ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতী লীগের সম্মেলনেরও। এছাড়া দলটির জাতীয় সম্মেলনের আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের দুই শাখার সম্মেলনের তারিখও নির্ধারণ হতে পারে এ বৈঠকে।
অন্যদিকে ডিসেম্বরে রংপুর সিটি নির্বাচন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক কর্মসূচিসহ নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আসবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও নানা দিকনির্দেশনাও।