ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগীকে আজ ক্যাম্পাসে ডেকেছিল শাখা ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি। শনিবার ভুক্তভোগী জানান, ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির ডাকে রবিবার ক্যাম্পাসে আসবেন তিনি, তবে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কায় তিনি আজ ক্যাম্পাসে আসবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর বাবা আতাউর রহমান। এদিকে ভুক্তভোগী ক্যাম্পাসে না আসলে অনলাইনে তার সাক্ষাতকার গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান অনিক।
রবিবার সকাল ৯টার দিকে ভুক্তভোগীর বাবা আতাউর রহমান জানান, ছাত্রলীগের তদন্তের কাজে যদি আমার মেয়ের সাক্ষাতকার নেওয়া প্রয়োজন হয় তবে তারা আমাদের বাড়িতে আসুক। আমরা নিরাপত্তা শঙ্কায় ক্যাম্পাসে যেতে পারবো না।
আরো: ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা
শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হাসান অনিক বলেন, ভুক্তভোগী ক্যাম্পাসে না আসলে আমরা অনলাইনে তার সাক্ষাতকার গ্রহণ করবো। এছাড়াও আজকের মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর নিয়ে কেন্দ্রে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ রোববার।
এদিকে গতকাল শনিবার ক্যাম্পাসে আসার বিষয়ে ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেক যদি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাহলে আমি ক্যাম্পাসে আসবো। বাড়ি থেকে যদি নিরাপত্তা দিয়ে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায় তাহলে আমি আসবো। না হলে আমি আসবো না, তারা আমাদের বাসায় আসুক।
এরআগে, ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক নির্যাতন, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাবাসসুম ইসলাম সহ তার সহযোগীরা ভুক্তভোগীর সাথে এমন আচরণ করে। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা ও হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।