ইবি প্রতিনিধি:
দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বিকল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ফটোকপি মেশিন। এতে গ্রন্থাগারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত ফটোকপি করতে বিপত্তি সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব তথ্য-উপাত্ত বাইরের দোকান থেকে ফটোকপি করায় তা ফাঁস হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়া এই ফটোকপি মেশিন থেকে শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে থাকা বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফটোকপি করতে পারতো। নষ্ট হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা সেই সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে তারা অতিদ্রুত ফটোকপি মেশিন চালু করে পূর্বের ন্যায় সুবিধা চালুর দাবি জানিয়েছেন।
গ্রন্থাগার সূত্রে জানা গেছে, কোনো শিক্ষার্থী চাইলে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে গ্রন্থাগার থেকে বইয়ের নির্দিষ্ট অংশ প্রতি পাতা এক টাকা মূল্যে ফটোকপি করার সুবিধা পেত। কিন্তু ২০১৯ সালের দিকে গ্রন্থাগারের ফটোকপি মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে গ্রন্থাগারের তথ্য-উপাত্ত বাইরের দোকান থেকে ফটোকপি শুরু হয়। তবে কোনোমতে কাজ চালানোর মত একটি ফটোকপি মেশিন রয়েছে গ্রন্থাগারটিতে। যেখানে অতিব গুরুত্বপূর্ণ নথি ফটোকপি করেন তারা। এছাড়া অন্যান্য নথি বাইরের দোকান থেকে ফটোকপি করা হয়।
তবে শিক্ষার্থীদের স্বল্প খরচে ফটোকপির সুবিধা পুরোপুরিই বন্ধ। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্বিগুণ টাকা খরচ করে তাদেরকে বাইরের দোকান থেকে প্রয়োজনীয় বইপত্র ফটোকপি করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রেও বই ফটোকপি করতে পাশ নেওয়ার জন্য জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে তারা বিড়ম্বনায় পড়েন। তাই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও যথাযথ তত্ত্বাবধানের অভাবকেই দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে কয়েক দফায় ফটোকপি মেশিনটি মেরামত করা হলেও অভিজ্ঞ লোকবল না থাকায় চালু রাখা সম্ভব হয়নি বলে দাবি গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের। এছাড়া গ্রন্থাগারে যেসব অভিজ্ঞ লোক ছিল তাদের অন্য দফতরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা গ্রন্থাগারে পড়াশোনা করতে এসে কোনো বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফটোকপি করার প্রয়োজন হলে তা করতে পারছি না। বাধ্য হয়ে বাইরের দোকান থেকে দ্বিগুণ খরচে ফটোকপি করতে হচ্ছে। এতে আমাদের নিয়মিত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-গ্রন্থাগারিক গোলাম কবির বলেন, মেশিন চালানোর মতো অভিজ্ঞ কেউ নেই। মেশিনটা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নষ্ট। এজন্য আমরা শিক্ষার্থীদের অল্প খরচে ফটোকপির সুযোগ দিতে পারছি না।
ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক শাহনাজ বেগম বলেন, মেশিনটা কয়েকবার সারানোর পরেও একই অবস্থা। এটি পরিবর্তন করে নতুন একটি মেশিন নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। পরবর্তী সভায় আমরা নষ্ট মেশিনটি পরিবর্তন করার বিষয়ে আলোচনা করবো।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু ডকুমেন্টস বাইরে থেকে ফটোকপি করা হয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ফটোকপি করার মতো আমাদের ছোটখাটো একটি ফটোকপি মেশিন রয়েছে।