ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ঢাকাসহ সারাদেশে আমাদের ডিবিতে মানুষ সহযোগিতা নেওয়ার জন্য আসছেন। আমি মনে করি, ডিবি একটা আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে।
রোববার (৬ আগস্ট) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, ডিএমপির ডিবিতে দুটি সাইবার ইউনিট আছে। দুজন ডিসির নেতৃত্বে কাজ করছে। আমরা মনে করি আমাদের সাইবার ইউনিট এখন অনেক শক্তিশালী। আপনারা লক্ষ্য করবেন শুধু হিরো আলম, সুড়ঙ্গ সিনেমার ব্যক্তিরাই নয়; বিভিন্ন সময়ে যারাই সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে আমাদের কাছে এসেছেন আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। যে কারণে ঢাকাসহ সারাদেশে আমাদের ডিবিতে মানুষ সহযোগিতা নেওয়ার জন্য আসছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, শুধু ডিবি সাইবার ইউনিট নয়, আমাদের প্রত্যেকটি টিম অনেক শক্তিশালী। যখনই ঢাকা শহরে যেকোনো ঘটনা ঘটছে আমরা চেষ্টা করছি তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার।
সাইবার অপরাধের বিষয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রযুক্তি যত উন্নত হবে তার কিছু অপপ্রয়োগ হবে। সে কারণেই আমাদের সাইবার ইউনিট হয়েছে। সাইবার অপরাধ যখন ঘটবে, অপরাধীদের শনাক্ত করা এবং গ্রেফতার করা সেই কাজটা আমরা করছি।
এর আগে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের অভিযোগের বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, “চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস সাইবার ক্রাইমে একটি অভিযোগ করেছেন। কিছুদিন আগে সুড়ঙ্গ সিনেমার পাইরেসি হয়ে গিয়েছিল, সেটা আমরা কয়েকজনকে গ্রেফতার করে বন্ধ করতে পেরেছি। সেই কারণে তারও (অপু বিশ্বাস) একটি ছবি ‘লাল শাড়ি’, এটা যেন কেউ পাইরেসি না করেন সেজন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরাও বলেছি, আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করবো। তবে পাইরেসি হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটলে যেন আমাদের আগেই জানায় আমরা সেটা বলেছি।”
তিনি বলেন, তার বাসা যেহেতু বসুন্ধরায় তাই বলেছি তিনি যেন ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি করার পর আমরা সেটা তদন্ত করে যারা তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের কথা বলেন, তাদের আমরা ডাকবো। প্রয়োজনবোধে গ্রেফতার করবো।