সেমিফাইনাল ম্যাচ, শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা গেলো। তবে সেটা পাকিস্তানি ব্যাটারদের কিছু ভুলের কারণে। নয়তো বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান যেভাবে রান তাড়ায় ছুটেছেন, নিউজিল্যান্ডের আসলে তেমন কিছু করারই ছিল না।
শেষদিকে কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা আশা দেখেছিল কিউইরা। তবে পাকিস্তানের বড় জয় আটকাতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে হারিয়ে বাবর আজমরা নাম লিখিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লক্ষ্য ছিল ১৫৩ রানের। রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনাই করেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে পাকিস্তান বিনা উইকেটেই তুলে ফেলে ৫৫ রান।
বাবর-রিজওয়ানের সেই জুটি টিকেছে ১০৫ রান পর্যন্ত। মোটে ৭৬ বলে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর-রিজওয়ানের এটি ছিল তৃতীয় শতরানের জুটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে এতবার কোনো জুটি শতরান পূর্ণ করতে পারেনি।
তাদের রেকর্ড জুটিটি অবশেষে ভাঙে ১৩তম ওভারে। বোল্টকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান বাবর (৪২ বলে ৭ চারে ৫৩)। শেষের দিকে আউট হন রিজওয়ানও (৪৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৭)।
ইনিংসের এক ওভার বাকি থাকতে মারকুটে মোহাম্মদ হারিস ২৬ বলে ৩০ রানে সাজঘরে ফেরেন। তবে পাকিস্তান তখন জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে। শান মাসুদ ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ৩৩ রানে নেন ২টি উইকেট।
এর আগে কিউইদের দারুণভাবে চেপে ধরেন পাকিস্তানি বোলাররা। ৪৯ রানে নিউজিল্যান্ড হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। সেখান থেকে কেন উইলিয়ামসন দলকে এগিয়ে দেন। তারপর ঝোড়ো ব্যাটিং করেন ড্যারেল মিচেল।
তবে সবমিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের পুঁজিটা খুব বড় হয়নি। ৪ উইকেটে ১৫২ রানেই আটকে গেছে কেন উইলিয়ামসনের দল।
সিডনিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুটাই ভালো ছিল। ইনিংসের তৃতীয় বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি এলবিডব্লিউ করেন ফিন অ্যালেনকে (৩ বলে ৪)। দেখেশুনে খেলতে থাকা ডেভন কনওয়ে ২০ বলে ২১ করে শাদাব খানের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন।
পাওয়ার প্লেতে তারা একদমই সুবিধা করতে পারেনি। ২ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ৩৮ রান। অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরতি ক্যাচ বানান গ্লেন ফিলিপসকে (৮ বলে ৬)।
সেখান থেকে কেন উইলিয়ামসন আর ড্যারেল মিচেলের ৫০ বলে ৬৮ রানের জুটি। ৪২ বলে ৪৬ করে উইলয়ামসন বোল্ড হন শাহিন আফ্রিদির বলে। তবে ড্যারেল মিচেল একদম ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ৩৫ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১২ বলে ১৬ করেন জেমস নিশাম।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২৪ রানে তিনি নেন ২টি উইকেট।