রাত পোহালেই এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীরা যখন পড়ার টেবিলে পরীক্ষার সর্বশেষ প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ে মেঘলা খাতুন (২০) নামে এক পরীক্ষার্থীর মরদেহ পড়ে আছে থানার অভ্যন্তরে লাশবাহী গাড়িতে।
মেঘলা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের দালালপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে। মেঘলা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন- এ খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার (৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) মেঘলার পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো হয়নি জেনে তার মা রাগারাগি করেন ও মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে বলেন। মায়ের কথায় অভিমান করে ওইদিন মেঘলা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মেঘলাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রাজশাহী থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে মেঘলা শনিবার দুপুর ২টার দিকে মারা যান। মেঘলা দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। প্রায় দুই বছর আগে একই গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে আব্দুল কালামের সঙ্গে মেঘলার বিয়ে হয়।
ঈশ্বরদীর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন বলেন, মেঘলা খাতুনের মরদেহ ঈশ্বরদী থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।