আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রিস ওকসের খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ফিটনেস সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বিশেষ করে, উরুর পেশিতে চোট রয়েছে তারা।
ক্রিস ওকস যদি খেলতে না পারেন, তাহলে ইংল্যান্ডের পাওয়ার প্লে এবং ডেথ ওভারের বোলিংয়ে বড় একটা প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ম্যাচের শুরু এবং শেষের দিকের গুরুত্বপূর্ণ এই ওভারগুলোতে দুর্দান্ত বোলিং করে থাকেন ওকস। পেসার রিসি টপলিকে হারানোর ধাক্কা না সামলাতেই ইংল্যান্ড শিবিরে ক্রিস ওকসকে নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হলো।
পার্থের পেস বান্ধব স্টেডিয়ামে ক্রিস ওকসে নিয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড গড়ার যে লক্ষ্য ইংল্যান্ডের, তাতে হয়তো ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা আনতে হবে তাদের।
যদিও শুক্রবার তার ফিটনেস পরীক্ষা করার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিন বিকেল নাগাদ ক্রিস ওকসকে দেখা গেছে রিসি টপলির পরিবর্তে দলে আসা টাইমাল মিলসের সঙ্গে অনুশীলনে বেশ কয়েকবার দৌড় দিতে।
ওকসকে নিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার বলেন, ‘সে (ওকস) এমন এক খেলোয়াড় নয় যে, তাকে নিয়ে আমরা ঝুঁকি নিতে পারি। আশাকরি এখন সে সুস্থ আছে। আশাকরি আজ আমাদের সাথে অনুশীলনে অংশ নেবে এবং পুরোপুরি সেরে উঠবে। সে অবশ্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
পাওয়ার প্লেতে ওকসের বোলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি প্রথম দুই ডেলিভারিতেই অ্যারন ফিঞ্চ এবং মিচেল মার্শকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত তিনটি উইকেট দখল করেন তিনি। নতুন বলে একজন সেরা বোলার হতে পারেন তিনি।
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে সাত ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনি প্রথম ওভারে বাবর আজমের উইকেট শিকার করেন। ওই ম্যাচে ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলকে বড় জয়ে সাহায্য করে।
ইনজুরিপ্রবণ ক্রিস ওকস পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগেই বাম হাঁটুর অস্ত্রোপচার থেকে সেরে ওঠেন। সব মিলিয়ে ইনজুরিপূর্ণ একটি বছরই কাটিয়েছেন তিনি।