সেতুমন্ত্রী বলেন, অপরিণামদর্শী বিএনপির নেতারা বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতা অনুধাবন না করেই গলার জোরে কথা বলছেন। তাঁরা জনগণের কষ্ট পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের সব দেশই এ সংকট মোকাবিলা করছে। ভবিষ্যতে সংকট গভীরতর হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে, তার দিশা খুঁজছে।
বিএনপির মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সংকটের প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি তাহলে পদত্যাগ করবেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। বিশ্বব্যাপী এ সংকট আমাদের সৃষ্ট না হলেও তার প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়েছে।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর থেকে বিশ্বমন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। এ পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দূরদর্শী বলেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। বেশি করে খাদ্য উৎপাদনের কথা বলেছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার পদত্যাগের যে অলীক স্বপ্ন বিএনপির নেতারা দেখছেন, তাঁরা তাঁদের কর্মীদের দেখাচ্ছেন, তা বাস্তবে কখনো ঘটবে না। জনগণ যত দিন চাইবে, শেখ হাসিনার সরকার তত দিন ক্ষমতায় থাকবে।
সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণায় বড় সর্বনাশ হয়েছে—বিএনপির মহাসচিবের এই মন্তব্যের জবাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল হয়তো জানেন না, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো চিহ্নিত করা আছে।