রমজান মাসে সাধারণ মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে রাজধানীতে ‘ন্যায্যমূল্যে’ ডিম, দুধ, মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ১০ মার্চ থেকে এ বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
গতবছর ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমে এ বছর গরুর মাংস রাখা হবে ৬০০টাকা কেজি। খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার বিক্রি হবে ২৮০ টাকায়। প্রতিটি ডিমের মূল্য রাখা হবে ১০ টাকা ৫০ পয়সা। যা ডিম ছাড়া গতবছরের নির্ধারিত দামের থেকে তুলনামূলক কম। আবার বিক্রির স্পট বেড়েছে ১০টি। গতবার ২০টি স্পটে ফ্রিজিং গাড়িতে মিলতো এসব পণ্য।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
এসময় তিনি বলেন: ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না। ট্রাক সেলের মাধ্যমে ঢাকায় কম দামে মাছ ও মাংস বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বাইরে এ ধরণের কার্যক্রম নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন: ঢাকায় ৩০ জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে এ ব্যাপারগুলো আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করব।
রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে আব্দুর রহমান বলেন: রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব। এবার ডিসিরা তাদের সকল সামর্থ্য নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে একমত হয়েছেন।
গত রমজানে মাসে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করেছিলো।
এ বিক্রি কার্যক্রমে কোন ধরণের ভর্তুকি দেয় না সরকার। উৎপাদকের কাছ থেকে সরাসরি কিনে তা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়। আবার বাজারের ওপর নির্ভর করে এ ননির্ধারিত দাম ওঠা নামা করে।