আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা বিপদাপদ সব সময় আজাব ও শাস্তিরূপে পতিত হয় না। কখনো বান্দার ইমানি পরীক্ষা ও ধৈর্য যাচাই করা হয়ে থাকে। যারা আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাদের উত্তম বিনিময় দান করেন।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা, ধন-সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানি এবং ফল-ফসলের ক্ষতি দ্বারা পরীক্ষা করব। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। (সুরা আল বাকারা ১৫৫)
প্রতিনিয়ত আমরা নিজের অজান্তেই কত শত পাপ করি, অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়ি; সেই পাপমোচনের ক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া আর কারও নেই।
তাই মহান আল্লাহর কাছে পাপ থেকে মুক্তির প্রার্থনার বিকল্প নেই।
আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.) সব সময় মহান আল্লাহর কাছে পাপ থেকে মুক্তির প্রার্থনা করতেন। পাপমোচনের আমল করতেন।
মহান আল্লাহর কাছে কীভাবে প্রার্থনা করলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে- নবীজি (সা.) সেটি আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন, শুনিয়ে দিয়েছেন।
রাতের ইবাদত ও দোয়া আল্লাহর কাছে অনেক মর্যাদা ও সম্মানের।
রাতের দোয়া ও ইবাদতে তাওহিদের সাক্ষ্য দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করলে সে দোয়া আল্লাহ তাআলা ফেরত দেন না। বান্দার সব দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।
হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ রাতে জেগে আল্লাহরকাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। আর যদি ওই ব্যক্তি ওজু করে এবং নামাজ আদায় করে তবে সে নামাজও কবুল করা হয়।’ (বুখারি, মিশকাত)
দোয়াটি হলো-
لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ – سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ للهِ وَلَا إلَهَ إلّا اللهُ، وَاللهُ أكْبَر – وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।
অনুবাদ: আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। তার জন্যই সকল রাজত্ব ও তার জন্যই সব প্রশংসা এবং তিনিই সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী।
মহাপবিত্র আল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত।
অতপর বলবে- ‘রাব্বিগফিরলি’ অর্থাৎ হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন।
হযরত আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. আল্লাহর কাছে সচ্ছলতা চেয়ে এই বলে দোয়া করতেন,