ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বন্ধ ক্যাম্পাসে দুই একাডেমিক ভবনের মাঝে ফের বৈশাখী মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ক্যাম্পাসের বাম সংগঠনগুলো। সোমবার দুপুর ২টায় মঞ্চের জন্য নির্ধারিত স্থানের সামনে এ মানববন্ধন করেন ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ, শাখা ছাত্রমৈত্রী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী। এসময় তারা দুই একাডেমিক ভবনের মাঝে মঞ্চ তৈরির সিদ্ধান্তকে হঠকারী দাবি করে তা বিকল্প স্থানে তৈরির আহ্বান জানান। এর আগে মঞ্চ তৈরির জন্য গাছ কেটে তোপের মুখে পড়ে কাজ বন্ধ রেখেছিলো কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত ৩ মার্চ বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তনুযায়ী বৈশাখী মঞ্চ তৈরিতে অনুষদ ভবন ও ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ভবনের মাঝে দুই যুগ পুরোনো তিনটি কড়ই গাছ কাটা হয়। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে দায়ি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোপ প্রকাশ করেন। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করে। একইসঙ্গে ‘দুই একাডেমিক ভবনের মাঝে মঞ্চ তৈরি করলে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত হবে’ দাবি করে স্থান পরিবর্তন করে মঞ্চ তৈরির জন্য প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দেয় তারা।
তবে সেসময় উপাচার্য ক্যাম্পাসে না থাকায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কাজ স্থগিত রাখা হয়। দুই সপ্তাহ পর সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় মঞ্চের কাজ শুরু করা হয়। এর প্রেক্ষিতে দুপুরে মঞ্চের জন্য নির্ধারিত স্থানে মানবন্ধন করে বাম সংগঠনগুলো। পরে সেখানে লাল ফিতা টানিয়ে দেয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া দাবি না মেনে মঞ্চের কাজ চালু রাখলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয় তারা।
বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী শরীফ উদ্দীন বলেন, পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী মঞ্চের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার মঞ্চের মডেল প্রস্তুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ দেখে পরবর্তী নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী কাজ করবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, সবকিছু সমন্বয় করেই আমাদের চলতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। কোনো অভিভাবকই চায় না তাদের ছেলেমেয়েদের ক্ষতি হোক। আর সেখানে প্রতিদিন অনুষ্ঠান হবে না, কালেভদ্রে হবে। ক্লাস-পরীক্ষা ব্যহত হয় এমন কিছু করা হবে না। প্রয়োজনে ক্লাস-পরীক্ষায় ক্ষতি হবে এমন সময় অনুষ্ঠান না করার জন্য আলাদা নীতিমালা করা হবে।