সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ব্যক্তি মালিকানা জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। তবে ইউএনও’র দাবী ব্যক্তি মালিকানা নয় সরকারি জমিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসত বাড়ি নির্মাণ করতেই ভরাট করা হয়েছে।
উপজেলা শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামের ছালেমা বেগম নামে এক নারী ওই এলাকায় সিএস ১৬৮ খতিয়ানের ৩৭ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে পেয়ে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু এস এ খতিয়ান ও বিআরএস খতিয়ানে ওই জমি ভুলবশত সরকারের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন তহশিলদার অফিসের লোকজন ওই জমিতে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসত বাড়ি নির্মাণের কথা বলেন। পরে ওই বোরো ধানের জমিতে মাটি ভরাট করা হয়েছে।
এদিকে, ওই জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মাণ বন্ধের জন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গাইবান্ধা আদালতে একটি মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক ছালেমা বেগম।
স্থানীয়রা জানান, পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া জমি দীর্ঘদিন ধরে ছালেমা বেগমের পরিবার ভোগদখল করে আসছে। সেই জমিতে হঠাৎ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট করা হয়েছে। এতে ওই পরিবারটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ছালেমা বেগম দাবী করে বলেন, আমি পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির মালিক। ভুলবশত সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়েছে। এনিয়ে আদালতে মামলা করেছি। ওই জমিতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘জমিটি সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত। মামলা করলে তো মামলা চলবে, আমরা কাগজপত্র দিয়ে জবাব দিয়েছি। এটি সরকারি জমি, এস এ রেকর্ড ও বিআরএস রেকর্ড অনুযায়ী ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। তাই প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসত বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে।