গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একই পাড়ায় পাশাপাশি দুইটি জামে মসজিদের অবস্থান নিয়ে দীর্ঘ ৫ বছরে ধরে একটি সমাজ দু’ভাগে বিভক্ত ছিল। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্ব স্থায়ী সমাধান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডস্থ জাকারিয়াপাড়ায় পাশাপাশি অবস্থিত দুইটি জামে মসজিদ নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটিয়ে একত্রিত করা হয়।
এর আগে, দুপুরে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মসজিদ দুটি একত্রিত করার লক্ষ্যে দুই মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও মুসল্লিদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
আলোচনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (চঃ দাঃ) মো. মাসুদুর রহমান, সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুর রশীদ রেজা সরকার ডাবলু, সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আহসান হাবিব মাসুদ, ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. লাভলু মিয়া, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মশিউর রহমান বিপ্লব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি খন্দকার বাবলু মিয়াসহ দুই দুই মসজিদের মুসল্লীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে দুইটি জামে মসজিদকে একত্র করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, দুই মসজিদের মুসল্লী, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মসজিদে উপস্থিত হয়ে আসরের নামাজ আদায় করেন।
এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেন। পরে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ৫ বছর আগে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড জাকারিয়া পাড়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ফলে একটি সমাজ ভেঙে অপর আরেকটি মসজিদ তৈরি করে দু’ভাগে বিভক্ত হয় যায়। এনিয়ে তখন থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধান হলো।