বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রতিনিধিঃবটিয়াঘাটায় জীবন নাশের হুমকির প্রতিবাদে বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বটিয়াঘাটা থানার অন্তর্গত চক্রাখালীর মুসলিম নগর এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী ফতেমা আক্তার মৌসুমি।
তিনি গত ১৫/১০/২২ ইংরেজি তরিখ রোজ শনিবার বিকেল ০৪ ঘটিকার সময় প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান,তার স্বামী মুসলিম নগর এলাকার মেইন রোডস্থ বাশ,টিন সহ বিভিন্ন মালামালের ব্যাবসা করেন।
গত ইংরেজি ১৩/১০/২২ তারিখ সকাল ০৯ টার দিকে একই এলাকার সার্জেন্ট বিল্লালের বাডির ভাড়াটিয়া মোাঃ শাহীন তালুকদারের মেয়ে ফতেমা আক্তার শাওন (৩০) আমার স্বামীর দোকানে টিন কিনতে গেলে বাকি টাকা চাইতে গেলে বাক বিতন্ড করলে আমার স্বামী থামানোর চেষ্টা করে। ফতেমা আক্তার শাওন আরও ৪/৫ জন লোক ডাক দেয়। তারা অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার স্বামীকে বেধড়ক মারপিট করে এতে নিলা ফোলা জখম হয়। জীবনে শেষ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে ফাতেমা আক্তার শাওনের হাতে থাকা করাত দিয়ে আঘাত করে আমার স্বামী সরে গেলে গলায় লেগে রক্তাক্ত জখম হয়।আবার দা দিয়ে কোপ দিলে পাজরে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়।
অন্যন্যরা জীবন নাশের উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করলে রক্তক্ত জখম হয় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।অন্যদিকে আসামিরা দোকানের ২,৩৬,৫০০ টাকার মামাল ভাংচুর করে। ডাক চিৎকারে লোকজন এসে তাকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আসামিরা সুযোগ পেলে জীবনে শেষ করে ফেলবো বলে চলে যায়। পরে বটিয়াঘাটা থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ তদন্ত করতে গেলে ফতেমা আক্তার শাওন ওরফে ইয়াবা শাওন, ঝর্না আইরিন(৪২) স্বামী শাহীন মোল্লা,রেশমা বেগম(৩২) স্বামী মোমিন গাজী পুলিশদের ওপর চরাও হয়ে পুলিশের গড়িতে ইট মারে। এই হিংস্র মহিলারা পুলিশদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, মারতে যায় এবং পুলিশের অস্ত্র কেডে নেয়ার চেষ্টা করে। এমনকি রাইফেল পুলিশের পাচায় ডুকিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।
এই দুর্ধর্ষ মহিলারা আমার স্বামীকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের কৌশলে দুইজন কে আটক করে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়।এবিষয় বটিয়াঘাটা থানায় একটি মামলা হয় যার মামলা নং১২ তারিখ ১৩/১০/২২ ধারা ৩২৩/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৪২৭/ ৩৮০/ ৫০৬। আসামিরা অনেক দুর্ধর্ষ। তারা এখনও আমার স্বামীকে খুন করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আসামিরা যে কোন সময় আমার স্বামীকে খুন করতে পারে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।