স্বপন কুমার রায়, খুলনা ব্যুরো প্রধান:
খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গণের অন্যতম পথিকৃৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ও মহানগর কমান্ড, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ , কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা।
এ উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা ও যুব ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, বহুগুণের অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গণের অন্যতম পথিকৃৎ। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তাঁর অবদান ছিলো অনস্বীকার্য। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ ছিলো তাঁর। তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক, আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, শেখ কামাল যেমন ক্রীড়াবিদ ছিলেন তেমনি ছাত্র হিসেবেও ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। শহিদ শেখ কামাল ঢাকা থিয়েটরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। সহপাঠি শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলে ছিলেন স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী। তাঁর আদর্শ, দেশপ্রেম, নৈতিকতা, দিক নিদের্শনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে পড়–ক এই আহবান জানান মেয়র।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, কেএমপির পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। অনুষ্ঠানে খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির বক্তৃতা করেন।
আলোচনা সভা শেষে প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা প্রদানের জন্য নয় জনের মাঝে তিন লাখ ৬০ হাজার টাকার যুব ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।
শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের রূহের মাগফেরাত কামনা করে কোরআন খতম/বিশেষ দোয়া মাহফিল, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়। এছাড়া আগস্ট মাসব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন বিষয়ক একটি দৃষ্টিনন্দন ব্যানার সকল দপ্তর, সংস্থা, ক্রীড়া ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, সংস্থা/সকল বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিসের সামনে/গেটে/গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রদর্শন/স্থাপন করা হয়।