ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীর গলা চেপে শ্বাস রোধ করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ঘটনার বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আবু জাহেদ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগকর্মী হলেন- উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রতন কুমার রায় ও রেদওয়ান মাহমুদ। তারা উভয়েই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী। এদিকে ভুক্তভোগীর আবেদনের পর এসব অভিযোগ মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত উল্লেখ করে প্রক্টর বরাবর পাল্টা লিখিত দিয়েছে অভিযুক্তরা।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের বাসে কুষ্টিয়া শহরে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত রতন রায় কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে এসে ভুক্তভোগীকে তার বসে থাকা সিট থেকে অন্য সিটে বসতে বলে। এতে রাজী না হওয়ায় কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রতন ভুক্তভোগীর গলা চেপে ধরে। এসময় তার সঙ্গে থাকা অপর বন্ধু রিহাব রিদোয়ান ভুক্তভোগীর চোখে আঘাত করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে বাসের অন্যরা অভিযুক্তদের থেকে ভুক্তভোগীকে ছাড়িয়ে নেয়। ভুক্তভোগীর দাবি, আর কয়েক সেকেন্ড গলা চেপে যে কোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
এদিকে ভুক্তভোগীর লিখিত আবেদনের পর অভিযুক্ত রতন রায় ও রেদওয়ান মাহমুদ ও তাদের সঙ্গে থাকা দুই ছাত্রী পাল্টা আরেকটি লিখিত আবেদন জমা দেন। এতে তারা বলেন, ভুক্তভোগীর করা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও অতিরঞ্জিত। এধরনের গলা টিপে ধরার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এক ছাত্রীকে বসানোর জন্য তাকে পাশের সিটে বসতে অনুরোধ করলে সে উগ্র আচরণ করে। পরে তাকে গায়ে থাকা জার্সির একপাশ ধরে বাসের উপর তলার সিটে রেখে আসা হয়েছে। তবে পাল্টা অভিযোগ দেওয়ার আগে এক অভিযুক্ত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ভুক্তভোগীর কলার ধরার কথা জানান।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘এ ধরণের ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। এ ধরণের কর্মকাণ্ডকে ছাত্রলীগ কোনভাবেই প্রশ্রয় দেয় না। আমরা চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডির মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রবিবার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ আকারে জানানো হবে।’