স্বপন কুমার রায়, খুলনা ব্যুরো প্রধান:
চড়ক পুজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ লোকাৎসব।বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতিবছর চৈত্র সংকান্তিতে বা চৈত্রমাসের শেষদিনে এ পুজা অনুষ্ঠিত হয়।
এই ঐতিহাসিক চড়ক পূজা কবে কিভাবে শুরু হয়েছিল,তার সঠিক ইতিহাস জানা জায়নি।তবে জনশ্রুতি রয়েছে ১৪৮৫ খৃষ্ট্রাব্দে সুন্দরানন্দ ঠাকুর নামের এক রাজা এই পুজা প্রথম শুরু করেন।
প্রতিবছর এই ঐতিহ্যবাহী ভয়ংকর গা শিউরে উঠা চড়ক উৎসব পালন হয়ে থাকে বাংলাদেশের সব জেলা গুলাতে।চড়ক পুজায় পিঠে বাণ (বিশেষ বড়শি) ফুড়িয়ে চড়ক গাছের সাথে বাঁশদিয়ে তৈরী করা বিশেষ চড়কার ঝুলন্ত দড়ির সাথে বেঁধে দেওয়া হয় পিঠের বড়শি।আরবাণ বিদ্ধ সন্যাসীরা ঝুলতে থাকে শুণ্যে।রাতে নীল পুজার পর সন্যাসীরা সবাই থাকে নির্জলা উপাস।পরের দিন বিকালবেলা চড়ক পুজার শেষে উপোষ ভাঙ্গেন তারা। চড়কে ঝোলার সময় সন্যাসীদের আর্শীবাদ লাভের আশায় শিশু সন্তানদের শুন্যে তুলেদেন অভিবাবকরা।
সন্যাসীরা শুন্যে ঘুরতে ঘুরতে শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে আর্শীবাদ করেন।অনেক সময় কোলেও তুলে নেন। আর উড়ন্ত অবস্হায় দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বাতাসা ছিটান।যাদের ভাগ্য ভালো তারাই ঐ প্রসাদ ভাগ্য লাভ করেন।পরলোকে এই সন্যাসীদের শিব ঠাকুর স্বর্গে যাবার বর দিবেন বলেই ওদের বিশ্বাস।