দুটি ম্যাচের চিত্রনাট্য সম্ভবত এক হাতে লেখা! যেখানে গোল আছে, কামব্যাক আছে আর আছে হৃদয় ভাঙার গল্প। ওই গল্পের শেষ লেখা হয়েছে টাইব্রেকারে। সেখানে ব্রাজিলের বিদায় লেখা হলেও আর্জেন্টিনা জিতেছে ৪-৩ গোলে। ডাচদের বিদায় করে উঠে গেছে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। বাঁচিয়েছে ল্যাতিনের স্বপ্ন।
দুই ম্যাচে মিল যেমন আছে অমিলও আছে। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্যের পর অতিরিক্ত সময়ে লিড নিয়েছিল ব্রাজিল। শেষ বাঁশির আগে সমতায় ফিরেছিল ক্রোয়াটরা। মেসিদের সঙ্গেও অনেকটা তেমনই হয়েছে। প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটে নাহুয়েল মলিনার গোলে ১-০ গোলে লিড নিয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। লিড ২-০ করেছিলেন মেসি ৭৫ মিনিটে। গোল করেছিলেন পেনাল্টি থেকে।
এরপরই কামব্যাকের গল্প লেখে ডাচরা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে দলের আশা বাঁচান উইঘোস্ট। এরপর শেষ বাঁশির ঠিক আগে দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় ডাচরা। শট নিলেই বাজবে শেষ বাঁশি! লম্বা করে শট না নিয়ে আলতো টাচে বল সামনে বাড়ান কপমেনার্স। ম্যাচের ১১১ মিনিটে ওই বল ধরেই জালে জড়িয়ে দেন উইঘোস্ট।