ওমর ফারুক লিমন , নিজস্ব প্রতিবেদক:
শীতকাল শেষ হতে না হতেই ষড়ঋতুর এই বাংলায় এসে গেছে রূপে গুণে অতুলনীয় বসন্ত ঋতুর আগমনী বার্তা। কাল-পরিক্রমায় বাংলার প্রকৃতিতে শুরু হয়ে গেছে ঋতু পরিবর্তনের আনাগোনা। সময়ের সাথে ভেসে ভেসে এভাবেই রঙ বদলায় প্রতিটি ঋতুর। অবিশ্রান্ত সময়ের দৌড়াদৌড়িতে বাংলার প্রকৃতিতে এসেছিল কুয়াশায় ঘেরা শীত। একবারে হাড় কাঁপানো শীত। সাথে নিয়ে এসেছিল ঠাণ্ডা শীতল বাতাস ও ঘন কুয়াশা। একপা দু’পা করে করে শীত ঋতু প্রায় শেষ বেলায়। তবুও সবুজে ঘেরা বাংলার প্রকৃতির বুকে এখনো লেগে আছে হিমহিম শীতের প্রতিচ্ছবি। এই শৈত্য প্রবাহ গ্রাম,গঞ্জ,শহর সর্বত্রই যেন প্রভাব ফেলেছিলো প্রকটভাবে। গাছপালা ও ক্ষেত- খামারে ফুটে উঠেছিলো বিষন্নতার ছাপ। শীতের বিদায়ে প্রকৃতি যেন আজ নব বধুর সাজসাজ্জায় মেতেছে। আস্তে আস্তে রঙের ঘনত্ব আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূর্যিমামা এখন সাতসকালেই পূর্বাকাশে খুব চিকচিক করে উঠে।
ক্রমশই যেন সূর্যের তাপ পরিপক্ক হয়ে আছড়ে পড়ে প্রকৃতির বুকে।মিটিমিটি রোদে পরম আনন্দে খেলা করে শিশুরা। কিছুদিন আগেও কুয়াশাঘেরা কনকনে শীতেও করুন অবস্থা ছিল। তবে হাড় কাপানো শীতে পিঠা-পুলির আনন্দ উৎসবটাও ছিলো উল্লেখ করার মতোই। অতিথি পাখিরা ঝাঁকবেঁধে ছুটে চলে আকাশ ছুঁয়ে। দুপুরবেলা এলোমেলো উত্তরা বাতাসে উড়ে উড়ে খেলা করতে শুরু করেছে গাছগাছালির ঝরাপাতা। কেমন যেন গাছগুলো কে মৃত্য মতো মনে হচ্ছে।
বাংলার প্রকৃতিতে বসন্ত ঋতুর বাতাস এসে গেছে। শীতের বিদায়ের বাঁশি বাজাচ্ছে শুকনো ঝরাপাতার কড়মড় শব্দে। ফাগুনের ছোঁয়ায় গাঁও-গ্রাম বা নগরীর উদ্যানে গাছের মগডালে লুকিয়ে বসে থাকা কোকিলের মিষ্টি মধুর কুহুকুহু গান। বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফলের সমারোহে ফোটে উঠছে বসন্তের পূর্বাভাস। আম গাছে, জাম-গাছে মৌসুমি ফলের মুকুল দেখা যাচ্ছে! বড়ই, কাঁঠাল গাছে প্রাকৃতিক নিয়মের ফল আসার অপেক্ষায়। প্রকৃতির গায়ে ফুটেছে বিদায়ী শীতের অপরূপ দৃশ্য।