বৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাতার বিশ্বকাপ
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. চট্টগ্রাম
  11. চাকরি
  12. জাতীয়
  13. জীবনযাপন
  14. জোকস
  15. ঢাকা

বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়িতে ট্যাক্স ছিল না, বর্তমানেও ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে: মানববন্ধনে শ্রমিকরা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মার্চ ২৮, ২০২৪ ১০:০২ অপরাহ্ণ
বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়িতে ট্যাক্স ছিল না, বর্তমানেও ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে: মানববন্ধনে শ্রমিকরা

 

বিশেষ প্রতিনিধি:
বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে রংপুর কালেক্টরেট সুরভি উদ্যান এর সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শ্রমিকদের দাবি গুলো হলো- বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোন ট্যাক্স ছিল না, তাই বর্তমানে বিড়ি শিল্পের উপরে কোন ট্যাক্স না রাখা, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা, বিদেশী কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করা এবং বিড়ি শিল্পের শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করা।
মানববন্ধন শেষে রংপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিড়ি এ দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে প্রায় ২০০টি বিড়ি কারখানা রয়েছে। এসব বিড়ি কারখানায় এই অঞ্চলের হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, বন্যা কবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিকশিত হয়েছিল এই শিল্প। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে দেশি-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্রে বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অসম শুল্কের ভারে প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। একইসাথে শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। যেহেতু বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোন ট্যাক্স ছিল না, সুতরাং বর্তমানেও বিড়ি শিল্পের উপরে কোন ট্যাক্স না রাখার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে।’

বক্তরা আরো বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের মালিকদের অবদান অপরিসীম। তারা এ দেশে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির। দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’

এছাড়া সিগারেট ও বিড়ি একই গোত্রভূক্ত হওয়া সত্ত্বেও দুটোর মাঝে বৈষম্য বিরাজ করছে এবং বিড়িকে অসম প্রতিযোগীতায় বাধ্য করা হচ্ছে। বিড়িতে অগ্রীম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ। বিড়ি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প হিসেবে এই শিল্পের উপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে।

বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, মো. লুৎফর রহমান, মো. জামিল আক্তার, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমূখ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিবিনিউজ৭১.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন dbnews71.bd@gmail.com ঠিকানায়।

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস

আপনার জন্য নির্বাচিত