১২৫ রানের ছোট পুঁজি নিয়েও বেশ লড়াই করলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। শেষ মুহূর্তে আন্দ্রে রাসেলের ক্যাচটা যদি মুশফিকুর রহিম মিস না করতেন, তাহলে ম্যাচের ফল ভিন্নও হতে পারতো। যদিও এসব কিছু কুমিল্লার জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি। বরং, ২০ বল এবং ৪ উইকেট হাতে রেখেই সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। যদিও এবারের টুর্নামেন্টটা বেশ হতাশাজনকভাবেই শুরু হয়েছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। টানা কয়েকটি ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেয়েছিলো তারা।
তবে জয়ের ধারায় ফিরে আসার পরই দুর্বার হয়ে ওঠে ইমরুল কায়েসের দল। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় হয়েই ওঠে তারা প্লে-অফে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেটকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তারা আবারও উঠে গেলো ফাইনালে।
টস জিতে প্রথমে সিলেটকে ব্যাট করতে পাঠায় কুমিল্লা। বোলারদের সাঁড়াসি বোলিংয়ে সিলেটকে দাঁড়াতেই দেয়নি উইকেটে। যার পলে ১৭,১ ওভরেই ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই সুনিল নারিনের ঝড় কুমিল্লার জয় সহজ করে দেয়। যদিও মাঝপথে রুবেল হোসেনের খানিক ঝড়ে কিছুটা এলোমেলো হয়ে উঠেছিলো কুমিল্লার ব্যাটিং। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আন্দ্রে রাসেল ঝড় সেই এলোমেলো অবস্থা থেকে ফিরিয়ে এনে কুমিল্লাকে জয় উপহার দেয়।
১২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা। মাত্র ৭ রান করে আউট হয়ে যান বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ওপেনার। এরপর জনসন চার্লসও এসেও আউট হয়ে যান দ্রুত। ৪ রান করেন মাত্র তিনি।
কম পুঁজি নিয়েও শুরু থেকে কুমিল্লাকে চেপে ধরার প্ল্যান ছিল সিলেটের। কিন্তু সুনিল নারিন সেই প্ল্যান ভেস্তে দেয়। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তিনি। ৪টি ছক্কার মার মারেন। বাউন্ডারি ছিল ৩টি। মাত্র ১৮ বলে খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস।
তানজিম হাসান সাকিবের বলে তার বোল্ড হওয়ার সময় কুমিল্লার রান ছিল ৪৮। এরপর ইমরুল কায়েস করেন কেবল ১৩ রান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২৭ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
ইংল্যান্ডের মঈন আলি ১৩ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান। জাকের আলি অনিক মাঠে নেমেই বিদায় নেন রুবেলের বলে। তবে শেষ মুহূর্তে ১০ বলে ১৫ রান করে কুমিল্লার জয়ের নায়ক আন্দ্রে রাসেল। তার যদিও একটি ক্যাচ উঠেছিলো আকাশে। দৌড়ে এসে সেটি ধরতে গিয়েও ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম।