ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ-
আর মাত্র ৫ দিন পর হতে যাচ্ছে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । সম্মেলন দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক অঙ্গনে বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অন্যদিকে সম্মেলনের দিন এগিয়ে আসার সাথে সাথে গুরুত্বপূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর ব্যানার ও ফেষ্টুন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন থেকে বেড়ে আরও দুই জন মিলে সর্বমোট ৬ জন প্রার্থীর নাম জোরে সোরে শোনা যাচ্ছে।
প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আসা অন্য দুই জন প্রার্থী হলো সদ্য বিদায়ী জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক শেখ রাসেল কবির এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পুঁজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা রবীন্দ্রনাথ দত্ত । তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে দলীয় নেতাকর্মীর মাঝে গুঞ্জন রয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে অপর চার প্রার্থীরা হলো বর্তমান সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য দিলীপ হালদার,জলমা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পুঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, উপজেলা পুঁজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শিক্ষক পল্লব বিশ্বাস রিটু এবং উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক, উপজেলা পুঁজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, হোগলবুনিয়া মাধ্যমিক স্কুলের সাবেক সভাপতি ও বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মানস পাল । সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আশরাফুল আলম খান এবং জলমা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ব্যবসায়ী মোল্যা মিজানুর রহমান বাবু।
তবে সভাপতি পদে আরও দুই জন হ্যাভিওয়েট প্রার্থী সম্মেলনের দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারে বলে মন্তব্য করছেন দলীয় নেতাকর্মী। উল্লেখ্য গত ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিগত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ।
দীর্ঘ ৮ বছর ১৯ দিন পর কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উদ্ধতন নির্দেশ এবং জেলা আ’লীগের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু মহান শহীদ দিবস ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে সম্মেলন তারিখ ২ দিন পিছিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করে সম্মেলনের সভামঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে । তবে এবারের সম্মেলনে পদ নয় কাউন্সিলর হতে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লবিং গুরুপিং অব্যহত রয়েছে । নেতা কর্মীদের অভিযোগ রয়েছে , আওয়ামী লীগের অধিকাংশ কমিটির পূর্নাঙ্গ কমিটি নেই । প্রতি কমিটিতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিল নির্বাচন করার কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত হচ্ছে কি না তা শুধু দেখার বিষয় । এব্যাপারে সম্মেলনে মঞ্চ তৈরি থেকে শুরু করে মাঠ সাজানোর সার্বিক দায়িত্বে থাকা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এবং আগামী দিনে জলমা ইউনিয়ন আ’লীগের সম্ভব্য সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আসলাম তালুকদার এপ্রতিবেদকে বলেন, সম্মেলন সফল করতে ইতোমধ্যে মাঠ ও মঞ্চ তৈরির কাজ ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে । বাকি কাজ সম্মেলনের পূর্বে সম্পন্ন হবে ।
এব্যাপারে সভাপতি প্রার্থী জলমা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোল্লা মোঃ মিজানুর রহমান (বাবু) এপ্রতিবেদকে বলেন, উপজেলা ও অধিকাংশ কমিটি গুটি কয়েক নেতা দিয়ে চলছে । যার কারণে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা বাদ পড়েছেন । ফলশ্রুতিতে হাইব্রিড নেতারা দলে অনুপ্রবেশ করে রাজাত্ব করছে । এতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলের পরিবর্তে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলর হবার সম্ভাবনা রয়েছে ।
এ বারের সম্মেলনে ত্যাগী ও পরীক্ষিত এবং নতুন ও পুরাতন মিলে একটি সুন্দর কমিটি দেখতে চাই । পাশাপাশি হাইব্রিড নেতারা যেন দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে আহবান জানিয়েছেন ।