ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ হতে সমন্বিত (গুচ্ছ) ভর্তি পরীক্ষার বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে নিয়েছেন শিক্ষক সমিতি। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার। এরআগে সকালে সমিতির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অধিকতর সহজ ও নির্বিঘ্ন হবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এমনই প্রত্যাশা ছিল। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিনের চিরায়ত ভর্তি প্রক্রিয়ার পরিবর্তে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু দেখা যায়, সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার সমন্বয়হীনতা, দীর্ঘসূত্রিতা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরো জটিল করে তুলেছে। এরই ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিলে শিক্ষক সমিতি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে আবারও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মতামত দেন। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতা, ভোগান্তি ও দীর্ঘসূত্রিতা আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে উপাচার্য, উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে লিখিত দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সভায় উপাচার্যের অংশগ্রহণ এবং ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত খবর ইবি শিক্ষকদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ফলে আমরা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে পূণব্যক্ত করছি।
এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ঐতিহ্য আছে। এরআগে স্বতন্ত্র পরীক্ষা নিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম কুড়িয়েছে। কিন্তু গুচ্ছে যাওয়ার ফলে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থী ভর্তি সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়ছে। ভোগান্তি কমাতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাওয়া হলেও বাস্তবে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। তাই আমরা শিক্ষক সমিতি গুচ্ছতে না যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা সকল শিক্ষক গুচ্ছে না যাওয়ার পক্ষে অটল আছি।