অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়টির প্রকৃতি খুবই ভয়াবহ হতে পারে। এ জন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ তৎসংলগ্ন এলাকার সব বাসিন্দাকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয় কিংবা সাইক্লোন সেন্টারে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৩ মে) রাতে ফেসবুকের এক আলোচনায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের চারপাশে ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ উঠছে ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
অতিপ্রবল এ ঝড়ের জন্য এরই মধ্যে ১০ নম্বর মহাবিৎসংকেত জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির যে গতিপথ তা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বাসিন্দাদের জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতার এবং উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বিষয়। এ কারণে এরই মধ্যে তিনটি লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে, যা ‘গ্রেট ডেঞ্জার’ নির্দেশ করে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মোখা বর্তমান গতিতে অগ্রসর হতে থাকলে শনিবার মধ্যরাত নাগাদ কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশালসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় প্রভাব ফেলতে শুরু করতে পারে। এর ফলে প্রবল বাতাস, বৃষ্টি ও ঢেউ উপকূলে আঘাত হানবে, যা বিধ্বংসী পরিণতি বয়ে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের ১৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ছয় ঘণ্টায় এটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার এগিয়েছে।