মার্চের ১ তারিখ শুরু হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম সিরিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর একমাস আগেই ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। যেখানে তারা চমক হিসেবে রেখেছে একজনকে। রেহান আহমেদ। এই বোলিং অলরাউন্ডারকে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি- দুই দলেই রেখেছে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসছে ইংলিশরা।
রেহান আহমেদের এরই মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেছে। ১৮ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনারের অভিষেক হয়েছে গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচি টেস্টে। অভিষেক টেস্টেই ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আদিল রশিদের ক্যারিয়ার প্রায় শেষের পথে। তার আগেই এই জায়গাটা নেয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন রেহান আহমেদ।
প্রায় এক বছর দলে ফিরছেন সাকিব মাহমুদও। ইনজুরির কারণে ২০২২ সালের পুরো মৌসুমটাই বলতে গেলে মিস করেছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতে বিরতি নিয়েছিলেন মার্ক উড। বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে ফিরছেন তিনিও।
পাকিস্তানের পিএসএল চলার কারণে সেখানে ইংল্যান্ড দলের অনেক ক্রিকেটার অংশ নেয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিলো। যে কারণে, বাংলাদেশ সফরে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সারির দল পাঠাতে পারে, এমন গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিলো।
তবে, শেষ পর্যন্ত মোটামুপি পূর্ণ শক্তির দলই বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট চলার কারণে ওই টেস্ট দলের বেশ কিছু ক্রিকেটারকে পাওয়া যাবে না বাংলাদেশ সফরে। কারণ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরপরদিন, তথা ১ মার্চ শুরু হবে বাংলাদেশ ইংল্যান্ড সিরিজ।
এ কারণে টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস, সাবেক অধিনায়ক জো রুটরা আসতে পারছেন না বাংলাদেশে। তবে পিএসএলে খেলার কারণে বাংলাদেশে আসছেন না যারা, তাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যালেক্স হেলস, স্যাম বিলিংসের মত ক্রিকেটার। আইপিএলে খেলবেন এবং এর মধ্যে পরিবারকে সময় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ডেভিড উইলি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যদি দ্বিতীয় টেস্টর দলে না থাকেন, তাহলে বাংলাদেশ সিরিজ শুরুর আগেই ঢাকা আসতে পারেন উইল জ্যাকস। তার সম্ভাবনা থাকলেও বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত দলে রাখা হয়নি জ্যাকসকে।
তবে উইল জ্যাকস এবং বেন ডাকেট- এই দু’জন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দলে থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকবেন। নিউজিল্যান্ড থেকে সোজা ঢাকায় চলে আসবেন। জনি বেয়ারেস্টো এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ইনজুরিতে থাকার কারণে কোনো সফরেই ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে অন্তর্ভূক্ত হতে পারছেন না।
সিরিজের সূচি:
১ম ওয়ানডে, ১ মার্চ, ঢাকা
২য় ওয়ানডে, ৩ মার্চ, ঢাকা
৩য় ওয়ানডে, ৬ মার্চ, চট্টগ্রাম
১ম টি-টোয়েন্টি, ৯ মার্চ, চট্টগ্রাম
২য় টি-টোয়েন্টি, ১২ মার্চ, ঢাকা
৩য় টি-টোয়েন্টি, ১৪ মার্চ, ঢাকা