মোঃ এন. এইচ. শান্ত:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রান্তিক এক কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে হাসি ফুটেছে অর্থের অভাবে শ্রমিক সংকটে থাকা অসহায় ওই কৃষকের মুখে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সোনারায় ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোজা মিয়ার ৬২ শতক জমির ধান কেটে মাড়াই শেষে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দিকনির্দেশনায় এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারীর সার্বিক সহযোগিতায় অসহায় কৃষকের ধান কাটায় অংশ নেয় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রতন মিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একঝাঁক তরুণ নেতাকর্মীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মিসেস আফরুজা বারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মুকুল, মিসেস বারীর ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী,২নং ওয়ার্ডের আ’লীগ সভাপতি শাহজাহান মিয়া, যুব নেতা শহিদুল ইসলাম রানা প্রমূখ। কৃষক মোজা মিয়া বলেন, ‘আমার ৬২ শতক জমির ধান পেকেছে। কিন্তু ধান কাটার কোনো শ্রমিক পাচ্ছি না। তাছাড়া শ্রমিকের খরচও বেশি। উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা রতন মিয়া এই খবর পেয়ে আমার ধান কেটে দিয়েছে। এই ধান কাটতে কমপক্ষে ৮ হাজার টাকা লাগতো।
ছাত্রলীগের কর্মীরা আমার ধান কেটে দেওয়ায় আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রতন মিয়া বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দিকনির্দেশনায় আমরা এই কর্মসূচি শুরু করি। ধান কাটার পুরো মৌসুমে আমরা কৃষকদের পাশে থাকবো। যেখানেই শুনবো কৃষকরা শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছেন না, সেখানেই গিয়ে ধান কেটে দিব।’
এবিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মিসেস আফরুজা বারী বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা রতনের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগ যে কাজটি করেছে এটি সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি তাদের এমন মহতী কাজে। আগামী কর্মসূচিগুলোতে আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করবো।’