জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা ও নবনির্বাচিত সরকারকে উপকূলীয় মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্যরা। তারা তাদের বক্তব্যে বলেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে উপকূলীয় অঞ্চল একসময় জনমানবশূন্য হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় উপকূলের মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষায় সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
১৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় লিডার্স শ্যামনগর শাখা অফিসে শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম এর অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভায় এই দাবি তুলে ধরা হয়। লিডার্সের সিনিয়র ফিল্ড ফাসিলিটেটর শম্পা বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সভায় বক্তব্য প্রদান করেন ফোরামের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবীরঞ্জন মন্ডল , বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আলী আশরাফ, সম্পাদক- রনজিৎ কুমার বর্মন ,অধিপরামর্শ বিষয়ক সম্পাদক – মানবেন্দ্র দেবনাথ, চন্দ্রিকা ব্যানার্জী, তপন কুমার মন্ডল, জি এম আব্দুর রশিদ গাজী, লিপিকা রায়, শাহানা হামিদ সহ আরো অনেকে।
উক্ত সভায় উপকূলের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবতার জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ । বাংলাদেশের দক্ষিণ – পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ – পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষা করার জন্য এই এলাকাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনার দরকার। তারা আরো বলেন যে জলবায়ু সংকট যেহেতু মানবতার জন্য হুমকিস্বরূপ তাই এই জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নবনির্বাচিত সরকারের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে।
আগামীতে সরকারের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। এজন্য নবনির্বাচিত সরকারকে উপকূল রক্ষায় এগিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন বক্তারা। এছাড়া আগামী ৬ মাসের জন্য উক্ত ফোরামের একটি কর্ম পরিকল্পনা করা হয়। উক্ত পরিকল্পনা উপকূলের জনমানুষের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে ফোরামের প্রত্যাশা।